ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
বুধবার (০৯ অক্টোবর) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে স্ব স্ব মন্দিরে বেলগাছের নিচে ঘট স্থাপন করে ষোড়শ উপাচারে ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভে ষষ্ঠী পূজা শুরু হয়।
লোহাগড়া উপজেলার প্রধান ও প্রাচীন ধর্মীয় উপাসনালয় শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালিমাতা মন্দিরের পুরোহিত সুকান্ত চ্যাটার্জি বিপ্লব জানান, সংকল্প ও আরম্ভ এ দুই মিলিয়ে হয় ‘কল্পারম্ভ’। এর মাধ্যমে দেবীর কাছে প্রতিজ্ঞা করা হয়, সব নিয়ম মেনেই তার পূজার্চনা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সপ্তমী, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) অষ্টমী আর শনিবার (১২ অক্টোবর) হবে মহানবমীর পূজা। পঞ্জিকা মতে, এবার মহানবমী পূজার পরই দশমী বিহিত পূজা হবে। এবার নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ১৩৯ টি মন্দির ও মণ্ডপে দূর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।
সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী, এ বছর দেবী দুর্গার আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে। পালকি বা দোলায় দেবীর আগমন বা গমন হলে এর ফল হয় মড়ক। খাদ্যশস্যে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হবে ও রোগব্যাধি বাড়বে। এ ছাড়া দেবী স্বর্গে গমন করবেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। শাস্ত্র মতে, দেবীর গমন বা আগমন ঘোটকে হলে ফলাফল হয় ছত্রভঙ্গ। এটা সামাজিক ও রাজনৈতিক এলোমেলো অবস্থাকে ইঙ্গিত করে।
গত ২ অক্টোবর মহালয়ার মাধ্যমে দেবীপক্ষ ও শারদীয় দূর্গোৎসবের পুণ্যলগ্নের শুরু হয়। এ বছর লোহাগড়া পৌরসভায় ৩৯টি এবং ১২ ইউনিয়নে১০০ টি মন্ডবে সর্বমোট ১৩৯টি মন্ডবে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সুষ্ঠু সুন্দর তথা নির্বিগ্ন ভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্ততামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরিন জাহান তন্বী জানান, লোহাগড়ায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ৫দিন ব্যাপী দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আশা করছি এখানে নিরাপদ এবং নির্বিঘ্নে শারদীয় দূর্গা উৎসব সম্পন্ন হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম