ঈদেক সামনে রেখে কোরবানির হাট কাঁপাতে নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রস্তুতি নিয়েছে কালা রাজা, লাল বাহাদুর, কম্পিউটার লাল বাবু। আসন্ন ঈদের বাজারে ষাঁড় তিনটি চড়া দামে বিক্রি হবে বলেই খামার মালিকের প্রত্যাশা।
উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের দিঘলিয়া গ্রামের গোলাপ খানের ছেলে মালেশিয়া প্রবাসী মোঃ আজিজুল হক খান ২০১৮ সালে বাড়িতে ৪-৫ লাখ টাকা মূল্যের ৫টি গাভী গরু কিনে ” খান এগ্রো ফার্ম” নামে খামার শুরু করেন। এখন খামারে দুগ্ধ প্রদানকারী গাভী ২টা, ষাঁড় ১১টা, বকনা বাছুর ৫টা, গর্ভবতী গাভী ১২টা। মোট ৩০টি গরু। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৮০-৯০ লাখ টাকা।
করোনার সময়ে বাধ্য হয়ে অল্পদামে কিছু গরু বিক্রি করে দিতে হয়। বাজার না থাকায় দুধ গ্রামবাসীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। ওই সময় প্রায় ৪০-৪৫ লাখ টাকার লোকসান হলেও তিনি হাল ছাড়েননি। অক্লান্ত পরিশ্রম করে আজ সেই লোকসানের খামারে লাভের মুখ দেখছেন আজিজুল হক খান।
ফার্মের মূল মালিককে মাঝে মাঝে প্রবাসে যেতে হয়। তাই খান এগ্রো ফার্ম এর গরুর সেবা-লালন পালনে বেশি ভূমিকা পালন করেন প্রবাসীর সেজোভাই কে,এম নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, ভাত,খুদ, দয়াকলা, ঘাষ, তালশাস, খৈল এসবই হলো আমাদের খামারের গরুর খাবার। গরু তাজা-মোটাকরনে কোন বৈজ্ঞানিক পন্থা আমরা অনুসরণ করি না। প্রাকৃতিকভাবেই গরুগুলো বেড়ে উঠেছে।
তিনি জানান, বর্তমানে খামারের তিনটি ষাঁড় সাধারণ মানুষের নজর কেড়েছে। লাল বাহাদুর ষাঁড়ের বয়স দেড় বছর, সম্ভাব্য দাম তিন লাখ টাকা। কালা রাজা ষাঁড়ের বয়স চার বছর, সম্ভাব্য দাম আট-দশ লাখ টাকা। কম্পিউটার লাল বাবু ষাঁড়ের বয়স চার বছর, সম্ভাব্য দাম চার-পাঁচ লাখ টাকা। গরুর প্রাথমিক চিকিৎসার বিষয়টি দেখেন বড় ভাই রেজাউল করিম খান। তিনি পশু সম্পদ কার্যালয় থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
খামারের মালিক (মেজো ভাই) প্রবাসী মোঃ আজিজুল হক খান জানান, খামারের পরিধি আরো বৃদ্ধি করতে চাই। ব্যাংকসহ সরকারি সহযোগিতা দরকার। পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে কোরবানির হাটে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা ষাঁড় ক্রেতাদের জন্য নিতে পারছি, এটিই বড় পাওয়া। পরিশ্রম ও পরম যতে এগিয়ে যাচ্ছে খান এগ্রো ফার্ম। ফার্মে ভীড় জমাচ্ছে নড়াইল সহ বিভিন্ন জেলার ক্রেতা।
খুলনা গেজেট/এসজেড