নড়াইলের লোহাগড়ায় গ্রাম্য কোন্দলের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষ সড়কি দিয়ে কুপিয়ে একজন ভ্যান চালককে হত্যা করেছে। এ সময় উভয় পক্ষের সাতজন আহত হয়েছে। আহতদের লোহাগড়া ও নড়াইল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(১৭ মে) দুপুর দেড়টার সময় উপজেলার শাকুকখোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মিজানুর শরীফ (৫২) ওই গ্রামের মৃত ওয়াদুদ শরীফের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়ের শামুকখোলা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে আলিম কাজী সমর্থিত লোকজনদের সাথে আসকার খন্দকার সমর্থিত লোকজনদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্ধ-সংঘাত চলে আসছিল।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আসকার খন্দকারের নেতৃত্বে হোসেন খন্দকার, জাহিদ খন্দকার, মনির খন্দকার ও শহিদ খন্দকারসহ অর্ধশতাধিক লোক প্রতিপক্ষ ওবায়দুর কাজীর বাড়ী থেকে গরু ধরে নিয়ে যায়। পরে কালাম কাজীর বাড়ী থেকেও গরু ধরে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের লোকজন ইট-পাটকেল, লাঠিসোটা, রামদা, ঢাল-সড়কি নিয়ে মাদ্রাসা এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় আসকার খন্দকারের লোকজন সড়কি দিয়ে ভ্যান চালক মিজানুর শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করে। সংঘর্ষে ইমদাদুল কাজী, মফিজুল কাজী, সৈয়দ আশরাফ আলী ও সোহাগ কাজীসহ সাতজন আহত হয়।
আহতদের লোহাগড়া ও নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে।
নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু হেনা মিলন হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।