নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়ে অন্তত্য ২০টি বাড়ী ভাংচুর করেছে। এ সময় ঠেকাতে গেলে হামলাকারীরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে ১০ জনকে আহত করেছে। আহতদের যশোর ও লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ এ হামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান কামরান শিকদার গ্রুপের সাথে সাবেক চেয়ারম্যান দাউদ হেসেন গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে কামরান ও দাউদকে সমর্থন দেয়। কয়েকদিন আগে ছাইমানারচর গ্রামের কামরান সমর্থিত মুশা মেম্বর ও সরোয়ার খানের লোকজন মোবাইলে ফায়ার গেম খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ দাউদ সমর্থিত নান্নু মুন্সির ছেলে রনি মুন্সিকে মারধর করে আহত করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। এরই জের ধরে শুক্রবার গভীর রাতে কামরান পক্ষের মুশা মেম্বরের নেতৃত্বে শতাধিক লোক প্রতিপক্ষ দাউদ সমর্থিত মুসা মোল্যা, নান্নু মুন্সি,হাবিবর ,বিল্লাল শেখ. ইউনুচ, তৌহিদ, ফরহাদ, ইয়াকুব, চন্নু মুন্সি, উবায়েদ, জিন্না, নূর ইসলাম, হারুন, জামাল, লাবলু রবিউল মাহাবুর, সোহাগ, আহাদ, ওহিদ শেখের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ঘর-দরজা ভাংচুর করে ।
এছাড়াও সোহেল মোল্যা একটি ট্রাকও ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয়। ঠেকাতে গেলে হামলাকারীরা এসএসসি পরীক্ষার্থী খায়রুল শেখের বাম পা কুপিয়ে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এ ছাড়া মুসা মোল্যা, কাশেম মোল্যা, নেপুর মোল্যা, নান্নু মুন্সি, আকবর বিশ্বাস,আহাদ মোল্যা, সোহাগ মোল্যা, মিকাইল মোল্যাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত খায়রুলকে যশোর পঙ্গু হাসপাতালে এবং অন্যদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যাওয়ার পথে পুলিশ আহত মিকাইল মোল্যা,আকবর বিশ্বাস ও নেপুর মোল্যাকে আটক করেছে।