নড়াইলের লোহাগড়ায় স্বামী ও মা-বাবার ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে প্রবাসীর স্ত্রী জেরিনা খানম (২২)। একটি চিরকুট লিখে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লোহাগড়া পৌর শহরের গোপীনাথপুর এলাকার ইকবাল হোসেনের ভাড়া বাড়ীতে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট ও নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউপির আড়পাড়া গ্রামের ওয়াহেদ মোল্যার মালেশিয়া প্রবাসী ছেলে সোহেল মোল্যার সাথে তিন বছর আগে নড়াইল সদর উপজেলার সীবানন্দপুর গ্রামের মিটু মোল্যার মেয়ে জেরিনা খানমের বিয়ে হয়। সম্প্রতি জেরিনা লোহাগড়া পৌর শহরের গোপীনাথপুর এলাকার ইকবাল হোসেনের বাড়ীতে ভাড়াটিয়া হিসেবে একা বসবাস করে আসছিল। সোমবার দুপুরে জেরিনার বৃদ্ধা দাদী সাবিনা ইয়াসমিন ও সবুরোননেছা জেরিনার বাসায় এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করতে থাকে। এ সময় প্রতিবেশীরা এসে দরজা ভেঙ্গে ফেলে এবং জেরিনাকে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে থাকতে দেখে।
এলাকাবাসী দ্রুত তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেরিনার পিতা মিটু মোল্যা জানান, ‘সকালে জেরিনা ফোন করে বলে, তাকে আর জীবিত দেখতে পারবে না’। এরপর জেরিনাকে বাড়ীতে নেওয়ার জন্য তার দুই দাদীকে গোপিনাথপুরের বাসায় পাঠাই। কিন্তু তাকে আর জীবিত অবস্থায় বাড়ীতে নেওয়া হলো না।
খবর পেয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু হেনা মিলন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সেখান থেকে একটি ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই সুমন হাওলাদার বলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই।
আত্মহত্যার বিষয়ে সন্দেহ থাকায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যেতে পারে।
খুলনা গেজেট/ এস আই