নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ১০ জনকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কার হওয়া নেতারা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদে ছিলেন। বুধবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ ঘোষ।
বহিষ্কার করা ১০ জন হলেন-জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য মাহামুদুল হাসান কায়েস, কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মল্লিক মনিরুল ইসলাম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান মোল্যা, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক জাকাতুর রহমান, সদস্য আমিরুল ইসলাম মনি, আওয়ামী লীগ নেতা মেলজার হোসেন ভূইয়া ও হায়দার মোল্যা, হামিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী গোলাম মোহাম্মদ, কালিয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোজাম্মেল হক ও যুবলীগ নেতা তৌরুত হোসেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস ও সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন খানের স্বাক্ষর করা চিঠি দিয়ে ওই প্রার্থীদের বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়েছে। ওই চিঠিতে উলেখ করা হয়েছে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা আওয়ামী লীগের দলীয় শৃঙ্খলা ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচনে অংশ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করায় আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বিধির ৪৭ এর ‘ঠ’ অনুচ্ছেদ মোতাবেক আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠন থেকে সরাসরি বহিষ্কার হয়েছেন।
বহিষ্কার হওয়া কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পুরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন, বহিষ্কারের বিষয়টি জানি না। বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
কালিয়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ বলেন, ‘ কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আওয়াতাধীন নেতাদের বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করেছিলাম, জেলা আওয়ামী লীগ তাঁদের বহিষ্কার করেছে। এ ছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ৯ নেতাকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ নভেম্বর এ উপজেলার ১২টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই