খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

যশোরে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, মামলায় ভাই বোন আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে এক নারীকে (১৮) ধর্ষণ ও সহায়তার অভিযোগে দুই ভাই বোনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলো, সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর মোল্লা পাড়ার ইউসুফ আলী মোল্লার ছেলে মাসুদ (৩০) ও তার বোন সীমা খাতুন (২৫)। এরমধ্যে পুলিশ আসামি সীমা খাতুনকে আটক করেছে।

মামলায় ওই নারী উল্লেখ করেছেন, আসামি মাসুদ প্রায় সময় তাকে উত্যক্ত ও প্রেম নিবেদন করতো। তিনি তার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বিষয়টি তার পিতামাতাকে জানান। এরপর তার পরিবারের সদস্যরা মাসুদকে নিষেধ করে। কিন্তু মাসুদ তাতে কোন কর্ণপাত করেন না। ফলে বাধ্য হয়ে তার পরিবারের লোকজন গত বছর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি এলাকায় তাকে বিয়ে দেন। সেখানে ঘর সংসার করার সময় আসামিদ্বয় প্রায় সময় তাকে নানা প্রলোভন দেখাতো। এক পর্যায়ে আসামি মাসুদ তাকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে নিয়ে আসে এবং গত ১৮ ডিসেম্বর কাজী অফিসে নিয়ে তালাক করিয়ে দেয়। এরপর তিনি তার পিতার বাড়িতে থাকতেন। সে সময় মাসুদ তাকে বিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। এরপর বিয়ের কথা বললে সে আজ না কাল বলে ঘুরাতে থাকে।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে আসামি সীমা বিয়ের কথা বলে মাসুদের ঘরে নিয়ে যায় তাকে। এরপর তার সাথে মেলামেশা করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এসময় তিনি বিয়ের বললে মাসুদ জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি তিনি তার মাকে জানান। পরে পরিবারের লোকজন আসামিদ্বয়ের সাথে একাধিকবার আপোষ মিমাংশার প্রস্তাব দিলে তারা তা মানতে রাজি হয়নি। ফলে এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা করে তিনি কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।

ওই মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, মাসুদের পরিবারের সাথে কথা বলে কোন সুরাহ না হওয়ায় থানায় অভিযোগ করা হয়। অভিযোগটি নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের পাঠানো হয়। কিন্তু ক্যাম্পের পুলিশ সেদিন আসামি আটক বা কোন তদন্ত না করে গত সোমবার বাড়িতে গিয়ে মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে। একেতো আসামির পরিবারের লোকজন কালক্ষেপন করেছে, তারপর পুলিশ আরো সময় নিয়েছে। ফলে ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত নাও পাওয়া যেতে পারে। সঠিক তদন্ত হলেই মেয়েটি সুবিচার পাবে।

এ বিষয়ে নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সুপ্রভাত মন্ডল জানিয়েছেন, আমরা অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা নিয়েছি। ওই মেয়ের পরিবারের লোকজন একটি সমঝোতায় যেতে চেয়েছিল, কিন্তু হয়নি। এছাড়া এ মামলার আসামি সীমাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে।

খুলনো গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!