যশোর সদর উপজেলার ইউপি নির্বাচনে কাশিমপুর ইউনিয়নের ডাকাতিয়া কেন্দ্রে পুলিশের উপর হামলা ও মারপিটের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। এসআই সেকেন্দার আবু জাফর বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাতে মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে।
মামলার আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের মৃত আনোয়ার সরদারের ছেলে ইসলাম (৪৮), দাউদ সরদারের ছেলে মেহেদি (২৫), ইসলাম সরদারের ছেলে মুকুল (২৮), আয়ুব হোসেনের ছেলে তুহিন (২৮), মৃত গণি মোলার ছেলে মাজেদ (৪৫), মৃত রফি মোল্লার ছেলে লিটন (২৫), আব্দুল আজিজের ছেলে আশিকুল ইসলাম (৩৮) ও সিদ্দিক মাস্টারের ছেলে জিহাদ হোসেন (৩২) ও অজ্ঞাত ৭/৮ জন।
এ মামলায় আটককৃতরা হচ্ছেন, ওই গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৩৮), জহুর আলী মোলার দুই ছেলে বাবু মোল্লা (৩৫) আশিকুল ইসলাম (৩২) ও মৃত গফুর মোলার ছেলে মনিরুল ইসলাম (৪০)।
মামলায় বাদী উলেখ করেন, তিনি ফোর্সসহ ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে কাশিমপুর ইউনিয়নের নুরপুর এলাকায় ডিউটি করছিলেন। তিনি সকালে মোবাইলের মাধ্যমে জানতে পারেন ডাকাতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার কর্মীদের সাথে বিএনপি সমর্থিত আইয়ুব আলী ও তার প্যানেলের মেম্বার প্রার্থী ইসলাম সরদারের লোকজনের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হচ্ছে। এ খবর শুনে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল ডাকাতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে পৌঁছে উভয়কে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া থেকে নিবৃত করার চেষ্টা করা হয়। এক পর্যায়ে আইয়ুব আলী ও তার প্যানেলের মেম্বার প্রার্থী ইসলাম সরদারের সমর্থকরা বাঁশের লাঠি ও দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে পুলিশ কনসটেবল ফারুক চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর আলম গুরুত্বর আহত হন। এ সময় আওয়ামী লীগের লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ফারুক চৌধুরীকে ভর্তি করা হয় ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় জাহাঙ্গীর আলমকে।