খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের, দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ৪০/২

খাস জমি বন্দোবস্তের নামে ৬ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

বাগেরহাট প্রতিনিধ

বাগেরহাটে দোকান (অ-কৃষি খাস জমি) বন্দোবস্ত দেওয়ার নামে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৬ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা হলেন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি চালক জাকির শেখ ও কচুয়া উপজেলার সহকারি কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড)‘র কার্যালয়ের অফিস সহকারি মৃণাল কান্তি দাস। এসব অভিযোগের সঠিক তদন্তপূর্বক বিচার ও টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

শনিবার (১২ জুন) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যবসায়ী মুক্তা লাল দাস। এসময় প্রতারণার শিকার অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জেলা প্রশাসকের কাছেও অভিযোগ দিয়েছেন এই ব্যবসায়ীরা।

মুক্তা লাল দাস বলেন, কচুয়া ও ভাষা বাজারে অকৃষি জমি (দোকান হিসেবে) বন্ধক নেওয়ার জন্য আমরা ১১ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিভিন্ন সময় উপজেলা ভূমি অফিসে চেষ্টা করেছি। এক পর্যায়ে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি চালক জাকির শেখ ও সহকারি কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) অফিসের কানুনগো মৃণাল কান্তি দাসের সাথে আমাদের একটি বোঝাপড়া হয়। পৃথক পৃথক ভাবে জাকির ও মৃণালকে ৬ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু টাকা দেওয়ার ৮-৯ মাস হয়ে গেলেও আমাদেরকে জমি বন্দোবস্তের কোন কাগজ দেয়নি। তাদের কাছে ফোন দিলে আজ দিব কাল দিব বলে কালক্ষেপণ করে। আমরা যেকোন মূল্যে আমাদের টাকা ফেরত চাই।’

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের সরবাহকৃত তালিকা অনুযায়ী গাড়ি চালক জাকির শেখ ও অফিস সহকারী মৃণাল দাস ৬ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা নিয়েছেন ১১ জন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে।

এর মধ্যে ভাষা বাজারের ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান ও হায়দার খান গাড়ি চালক জাকিরকে ৫০ হাজার করে টাকা দিয়েছেন। কচুয়া বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ নজরুল শেখ ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, মুক্তা লাল দাস ৮০ হাজার, টুলু মল্লিক ও রফিকুল ইসলাম ৫০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন দিয়েছেন গাড়ি চালক জাকিরকে।

কচুয়া বাজারের ব্যবসায়ী শুকলা বিশ্বাস, স্বপ্না শিকদার, আরিফুল ইসলাম ডলার, মুক্তিযোদ্ধা রমেশচন্দ্র দাসের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন কানুনগো মৃণাল দাস। রনজিত সাহা নামের আরেক ব্যবসায়ী ২৪ হাজার টাকা দিয়েছেন মৃণাল দাসকে।

মৃণাল দাস বলেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে এক টাকাও গ্রহণ করিনি। যদি কোন ব্যক্তি আমার সামনে এসে বলতে পারে তাহলে আমি তার টাকা ফেরত দিয়ে দিব।’

গাড়ি চালক জাকির হোসেনকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)মোঃ শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘তদন্ত পূর্বক অভিযোগের সত্যতা পেল আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!