খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীতে ফার্মগেটে বণিজ্যিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট কাজ করছে
  গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে ৩ শিক্ষার্থী নিহত
  ঝিনাইদহে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক চালকের মৃত্যু

বাগেরহাটে দূর্বৃত্তের আগুনে নারীর মৃত্যু, পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের কচুয়ায় দূর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে আহত শেফালী বেগম (৫৫) নামের এক বিধবার মৃত্যু হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কচুয়া উপজেলার পানবাড়িয়াস্থ নিজ বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

এর আগে শনিবার (৩০ জানুয়ারি)গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে বাইরে বের হলে মুখ বেধে ওই নারীর গায়ে আগুন দেয় দূর্বৃত্তরা। ওই রাতেই বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শেফালী বেগমকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রবিবার (৩১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। ৬দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার( ৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে মারা যান বিধবা শেফালী বেগম।

স্বজনদের অভিযোগ শেফালী বেগমের একমাত্র সন্তান অলিয়ার মোল্লার শ্বশুর বাড়ির লোকদের সাথে মামলা ও বিবাধ থাকায় এ ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজচন্দ্র রায়। নিহত শেফালী বেগম কচুয়া উপজেলার পানবাড়িয়া গ্রামের মৃত বেল্লাল মোল্লার স্ত্রী। এদিকে মায়ের এমন অকাল মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন একমাত্র ছেলে অলিয়ার রহমান মোল্লা।

প্রতিবেশী রাজু মোল্লা বলেন, ঘটনার দিন গভীর রাতে অলিয়ার ভাইয়ের ডাক চিৎকার শুনে আমি তাদের বাড়িতে আসি। এসে দেখি ঘরের সামনে মায়ের নিথর দেহ নিয়ে চিৎকার করছেন অলিয়ার ভাই। শেফালী বেগমের নাভীর নিচের সর্বাঙ্গ পোড়া ছিল। একটি কম্বল পেঁচিয়ে আমরা দুই জনে শেফালী বেগমকে ঘরের বারান্দায় উঠাই। পরে বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের এ্যাম্বুলেন্সে করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখান থেকে সোমবার (১ ফেব্রয়ারি) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
স্থান্তান্তর করি।

শেফালীর বোন রাবেয়া বেগম বলেন, আমার বোনের মৃত্যু পর্যন্ত তার পাশে ছিলাম। মৃত্যুর আগে সে আমাকে বলেছে রাতে প্রকৃতির ডাকে বাইরে বের হলে তিনজন লোক তাকে ধরে মুখ বেধে ফেলে। পরে তার শরীরে এসিড মেরেছে এবং আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।মারা যাওয়ার আগে এদের বিচারও চেয়েছেন আমার বোন।

অলিয়ারের প্রতিবেশী ও বাধাল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের খান বলেন, আগুন দেওয়ার জায়গা দেখে স্পষ্ট বোঝা যায়, কেউ না কেউ এই নারীকে আগুন দিয়ে হত্যা করেছে। সঠিক তদন্তপূর্বক প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, খবর শুনে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আশাকরি খুব শীগ্রই আমরা ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারব।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!