যশোরের সাবেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ মামলায় তাঁর স্ত্রী রামকৃষ্ণ মিশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষিকা রিতা রানী সরকারকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মণিরামপুর উপজেলার পোড়াডাঙ্গা গ্রামের মুকুন্দ বিহারী মল্লিকের ছেলে সংগীত শিক্ষক সঞ্জয় মল্লিক বৃহস্পতিবার আদালতে এ মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত দম্পতির বাড়ি ঢাকার ওয়ারী থানার টিকাটুলির অভয় দাস লেনে।
মামলায় সঞ্জয় মল্লিক উল্লেখ করেন, ২০১৪ সালে আসামি তাপস কুমার অধিকারী যশোরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। সেই সময় তাঁর স্ত্রী রিতা রানী সরকার রামকৃষ্ণ মিশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা ছিলেন। তারা শহরের ষষ্ঠীতলার পিটিআই রোডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ওই বাসায় গিয়ে আসামি রিতা রানী সরকারকে সংগীত শেখাতেন সঞ্জয় মল্লিক। এক পর্যায়ে ওই দম্পতির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠলে, তিনি তাদের কাছ থেকে গরুর খামার ও খাবারের ব্যাবসা করার জন্য মোট ৬৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। পরে ধারের টাকার মধ্যে তিনি তাদের ৩০ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকি টাকার জন্য তিনি তাদেরকে ব্যাংকের চারটি চেক প্রদান করেন। এরপর বাকি ৩৩ লাখ ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও আসামিরা তাঁর দেওয়া চারটি চেক ফেরত দেননি। এক পর্যায়ে আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে ওই চারটি চেক ডিজঅনার করিয়ে তার কাছে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
এরপর গত ২৪ অক্টোবর সঞ্জয় মল্লিক আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর কারণ জানতে চান এবং তাঁর দেওয়া চারটি চেক ফেরত দিতে বলেন। কিন্তু তারা চেক ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। যে কারণে আদালতে এ মামলা করতে বাধ্য হন সঞ্জয় মল্লিক।
খুলনা গেজেট/এএজে
