সাতক্ষীরা মার্চেন্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর লুটপাটকৃত ১১ কোটি টাকা উদ্ধারের দাবীতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে প্রতারনার শিকার ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা। সোমবার (১০ মার্চ) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান, সাতক্ষীরা মার্চেন্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এর বর্তমান নির্বাচিত সভাপতি মোঃ আব্দুল খালেক।
তিনি বলেন, মার্চেন্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ একটি অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান। যেখানে ৭০০ গ্রাহক সদস্যের আমানত হিসাবে ১১ কোটি টাকা জমা আছে। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ছিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনার রশিদ এর ছেলে আহসানুর রশিদ। আইন উপদেষ্টা ছিল এ্যাডঃ ওকালত হোসেন। বিগত ২০২০ সালের জুলাই মাসে সদস্যদের সঞ্চয়কৃত টাকা ও মুনাফা ফেরৎ দিতে অস্বীকার করলে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তারা নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না করায় ২০২০ সালের জুলাই মাসে ব্যবস্থাপনা কমিটি বিলুপ্ত হয়। এ দিকে গ্রাহকের জমাকৃত ১১ কোটি টাকার মধ্যে সাবেক সভাপতি আহসানুর রশিদ ১ কোটি, সাবেক নির্বহী পরিচালক মামুনার রশিদ ২ কোটি, ইসমাইল গ্রুপ ২ কোটি, মনিরুজ্জামান ৩০ লক্ষ, আলি হোসেন ৬৫ লক্ষ, কাজী ১৮ লক্ষ, পিয়াস ১৮ লক্ষ, বাসার ২৩ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে আর পরিশোধ করেনি।
আব্দুল খালেক বলেন, এমতাবস্থায় বিভিন জটিলতা কাটিয়ে বিগত ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর উক্ত প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আমি নিজে মোঃ আব্দুল খালেক সভাপতি এবং শেখ জাহিদুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। নতুন কমিটি ২০২২ সালে প্রায় শুন্য হাতে সমিতির কার্যক্রম পুনরায় চালু করেন। এদিকে ১১ কোটি টাকা তহবিল তছরুপের কারণে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সমবায় সমিতির ৪৭ নং আইনে বিচার করতে নির্দেশ দিলে ও অদ্যবধি নিষ্পত্তি হচ্ছে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শেখ আহছানুর রশিদ, শেখ মামুনার রশিদ ও এ্যাড জি এম ওকালত হোসন বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় অবেধ প্রভাব বিস্তার করায় এবং তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে এবিষয়ে কাঙ্খিত কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। ওকালত হোসেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জাহিদুর রহমানের নামে একের পর এর মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে যাচ্ছেন। যে কারণে সমিতির ১১ কোটি টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। ওকালত হোসেন একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন।
তিনি সাতক্ষীরা মার্চেন্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটডে এর লুটপাটকৃত ১১ কোটি টাকা উদ্ধার করা এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রাহকদের মধ্যে সুব্রত কুমার সানা, রিনা ঘোষ, উত্তম কুমার পাল, তাপস কুমার নাথ, সন্দীপ বসু, মিতা ঘোষ, সুধাম কুমার পাল, এড. জাহিদুর রহমান, ডা. হানাস, রাশেদ ইক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ টিএ