বাংলাদেশের ৪৩ শতাংশ জলাশয়কে কাজে লাগিয়ে যদি মৎস্য উৎপাদন করা যায় তাহলে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে আরো সচল করা সম্ভব। এ জন্য জলাশয় ও হাওরগুলোর উপর গুরুত্বারোপ করেছে সরকার। এর আওতায় মাছের উৎপাদন বৃদ্বির জন্য সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনে জীববৈচিত্র রক্ষাকরে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর। বাংলাদেশে মোট ১৪টি প্রকল্পরে মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলরে বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা রয়েছ।
এর জন্য সি,জে,এইচ ও আই, ডাবলু সমিক্ষা করবে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা ।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশসাকের সমম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিস্মেবর) বেলা ১০টায় হাওরের একশ বছর এবং আমাদের করণীয়’ বিষয়ক এক কর্মশালা প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহা পরিচালক মোঃ আক্তারুজ্জামান (অতিরিক্ত সচিব)।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব বসু, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ কাজী আরিফ আহমেদ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিএম সেলিম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, প্রাকৃতিকভাবে মৎস্য অভয়ারণ্য ও প্রাকৃতিক বনজ গাছগুলো রক্ষাণঅবেক্ষনের পরিকল্পিত উদ্যোগে নিতে হবে। এজন্য সাতক্ষীরার সুন্দরবন কেন্দ্রিক একটি মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়ার কাজ চলছে। একই সাথে এখানকার ট্যুরিজমকে উন্নয়ন করতে হবে। মেগা প্রকল্পটি দৃশ্যমান হলে সাতক্ষীরাবাসী উপকৃত হবে। সমৃদ্ধ হবে এই জেলার অর্থনীতি ।
কর্মশালায় জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, উন্নয়নকর্মী, সাংবাদিক ও বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ টিএ