খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ৩ মেয়র ও ২ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল আদেশ বহাল রেখেছে আপীল কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার শুনানী শেষে মেয়র প্রার্থী এস এম মুশফিকুর রহমান, মো. আবদুল্লাহ চৌধুরী ও কামরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন আপীল বোর্ড।
শুনানী শেষে নগরীর ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শমসের আলী মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। এর ফলে ওই ওয়ার্ডে একমাত্র প্রার্থী রয়েছেন জেড এ মাহমুদ ডন।
তবে শমসের আলী মিন্টু বলেছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে যাবেন।
এছাড়া ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ হুমায়ুন কবিরের প্রার্থীতাও বাতিল হয়েছে।
আজ আপীল শুনানিতে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী এসএম সাব্বির হোসেন এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইউসুফ আলী খান ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. জাকির হোসেন।
এদিকে ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী কাজী তালাত হোসেন কাউট হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন, এমন অভিযোগ তুলে তার প্রার্থীতার বৈধতার বিরুদ্ধে আপিল করেও পরে তা প্রত্যাহার করেছেন অপর কাউন্সিলর প্রার্থী শরিফুল ইসলাম।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ মে কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জনসহ মোট ১৯৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। গত ১৮ মে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে চার মেয়রপ্রার্থীসহ ১৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন। রোববার (২১ মে) পর্যন্ত ১৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৫ জন প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিল করেন। গত দুদিনে ১৫ জনের আপিলের শুনানি শেষে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন এক মেয়রপ্রার্থীসহ ৭ জন। আর ৩ জন স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থীসহ ৮ জনের বাতিল হয়েছে। আপিলে ৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকেল পর্যন্ত ৪ জন মেয়র প্রার্থী, ৩৯ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ও ১৪১ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীসহ মোট ১৮৪ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।
খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ও স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আপিল শুনানির দুই দিনে মেয়রপদে এক প্রার্থীসহ ৭ জনের আপিল মঞ্জুর হয়েছে। আর ৮ জনের আপিল নামঞ্জুর করা হয়েছে। একজনের বৈধতার বিরুদ্ধে আপিল করেও আজ তা প্রত্যাহার করেছে। আপিলে যাদের মনোনয়ন নামঞ্জুর হয়েছে, তারা হাইকোর্টে আপিল করতে পারবেন।
খুলনা গেজেট/এইচএইচ/এমএম