বাগেরহাটে ভাড়া বাসা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে স্বামীর মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগেরহাট শহরের হরিণখানা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম মনিরুজ্জামান মনি ওরফে আলিরাজ। গুরুতর আহত অবস্থায় মৃতের স্ত্রী মিশকাতুলকে বাগেরহাট জেলা হসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে মনিরুজ্জামানকে হত্যা করা হয়েছে বলে মৃতের পিতার দাবি।
নিহত মনিরুজ্জামান মনি ওরফে আলিরাজ যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার মাদারডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আব্দুল হালিমের ছেলে। সে পাবনার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। কিশোরের স্ত্রী মিশকাতুল বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বরশিবাওয়া গ্রামের মনিরুজ্জামান মীরের মেয়ে। মিশকাতুল বাগেরহাটের একটি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রেমের সর্ম্পকের পরিনতি হিসেবে ২৫ এপ্রিল তারা বয়স গোপন করে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। গেল ৭-৮ দিন ধরে হরিনখানা এলাকার মোঃ নেকবার মল্লিকের টিনশেড বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করত।
ধারণা করা হচ্ছে, উভয়ের পরিবার তাদের বিবাহ মেনে না নেওয়ায় বুধবার (১৭মে) গভীর রাতে মিশকাতুল ঘুমের ঔষধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
মনিরুজ্জামান মনি ওরফে আলিরাজের মৃত্যু সম্পর্কে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কিশোরের স্ত্রী মিশকাতুল বলেন, প্রেমের সম্পর্ক থাকায় আমরা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করি। গত রাতে আমাদের মধ্যে ঝগড়া হলে মনিরুজ্জামান বিয়ের কাবিনের ৬ লাখ টাকা দিয়ে চলে যাওয়ার কথা বলে। তখন পরে আমি ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কেটেছি এবং ২০টি ঘুমের ঔষধ খেয়েছি।
নিহত আলীরাজের বাবা মোঃ আব্দুল হালিম বলেন, আমার ছেলেকে ঢাকায় নিয়ে গোপনে বিয়ে করেছে মিশকাতুল। বিষয়টি আমাদেরকে অনেক পরে জানিয়েছে। আমরা এই বিয়ে মেনে নেওয়ার কথাও বলেছিলাম। কিন্তু ছেলেকে আমাদের কাছে যেতে দেয়া হতো ন। আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না, মিশকাতুল ও তার পরিবারের লোকজন আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
বাগেরহাট সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ হাসান বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্নয়ের জন্য মরদেহ বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী মিশকাতুল পুলিশ প্রহরায় বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড