বাগেরহাটের চিতলমারীতে ঈদের মাঠে আতশবাজি (পটকা) ফাটানোকে কেন্দ্র কাঠিপাড়া ও আদিখালী গ্রামের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় কাঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বেদবতী মিস্ত্রী ও থানার পরিদর্শক এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সংঘর্ষেরস্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
পুলিশ, হাসপাতাল ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কাঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দোকানপাঠ বসে। এ সময় কাঠিপাড়া গ্রামের অহিদুুল শেখের চটপটির দোকানের মধ্যে আদিখালী গ্রামের কিশোর স্বাধীন শেখ ও খাইরুল আতশবাজিতে আগুন ধরিয়ে ছুড়ে মারে। বাজির শব্দে ক্রেতাসাধারনরা ভয় পান। এ নিয়ে কাঠিপাড়ার লোকজন স্বাধীন শেখকে মারধর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাঠিপাড়া ও আদিখালী গ্রামবাসিদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হন।
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তিকৃত কাঠিপাড়া গ্রামের আহতরা হলেন, অহিদুল শেখ (৪০), আবুল হাসান (৩০), আলমগীর শেখ (৪৫), মকবুল শেখ (৫০), রবিউল ইসলাম (৫৫) ও কালু শেখ (৩৫)।
একই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তিকৃত আদিখালী গ্রামের আহতরা হলেন, খায়রুল ইসলাম (২৫), ইসমাইল হোসেন (১৯) জুয়েল শেখ, মোহম্মদ শেখ (২৮), শাহজাহান শেখ (৩০), রবিউল শেখ (৪০) ও স্বাধীন শেখ (১৬)।
কাঠিপাড়া গ্রামের চটপটি দোকানী অহিদুল শেখ জানান, আদিখালী গ্রামের স্বাধীন শেখ দোকানের মধ্যে আতশবাজি ফাটালে এলাকার লোকজন তাকে কয়েকটি চড়থাপ্পড় দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আদিখালীর লোকজন আমাদের পিটিয়ে আহত করেছে।
আদিখালী গ্রামের স্বাধীন শেখের চাচা রবিউল শেখ বলেন, ‘কাঠিপাড়ার লোকজন আমার ভাইপো স্বাধীনকে মেরে বেধে রাখে। আমরা তাকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে আমাদের লোকজনকে পিটিেিয় আহত করেছে।’
চিতলমারী থানার পরিদর্শক এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষেরস্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড