বাগেরহাটে রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকেলে বাগেরহাট শহরের প্রধান মাছ, গোশত, সবজি, চাল ও ফলের বাজার পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি বিভিন্ন পন্যের ক্রয় ভাউচার ও বিক্রি মূল্য পরীক্ষা করেন। সেই সাথে খেজুর, তরমুজ, আঙ্গুর, লেবুসহ বিভিন্ন ফল ও নানা ধরণের মাছের ভাল-মন্দ যোগ্যতা যাচাই করেন। পরে ৭২০ টাকা কেজি মূল্যে গরুর গোশত, ২২০ টাকায় বয়লার, ৩৩০ টাকা কেজিতে সোনালী মুরগি বিক্রির নির্দেশ দেন। এছাড়া বেগুন, কুমড়া, লাউ, করলা, পুইশাকসহ বিভিন্ন সবজি সর্বনিম্ন মূল্যে বিক্রির আহবান জানান ব্যবসায়ীদের।
এসময়, বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাফিজ আল আসাদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আরিফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাছনিম, জেলা বাজার কর্মকর্তা সুজাত খান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান, বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সভাপতি লিয়াকত হোসেন লিটন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে জেলা প্রশাসকের বাজার পরিদর্শনের খবর পেয়ে বেশকিছু মুদিদোকানদার ও গোশতের ব্যবসায়ীরা দোকান ফেলে গা ঢাকা দেয়। ভবিষ্যতে এসব ব্যবসায়ীদের বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশন দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
তিনি বলেন, রমজান আসলেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা লাভের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। যা এক ধরণের অপরাধ। অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরত্ব রোধ করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমান আদালতও পরিচালনা করা হয়। বাজার পরিদর্শন করে যেসব পন্যের দামের সাথে অসঙ্গতি ছিল, সেসব ব্যবসায়ীদের সতর্ক এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরণের বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।