বাগেরহাটের শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলা করেছে উপর শাসক দলের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার রায়েন্দা বাসস্ট্যান্ড, মোরেলগঞ্জ ফেরিঘাট সহ বিভিন্ন এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম।
আহতদের মধ্যে, মোরেলগঞ্জ পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি মাসুদ খান চুন্নু, শরণখোলা উপজেলা সাউথখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্বাস তালুকদার, বশার ঘরামী, মাসুম মীর, জাকির ফকিরের নাম পাওয়া গেছে।
শরণখোলা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম লাল বলেন, প্রবীন বিএনপি নেতা ফজলুল হকতালুকদার, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শিমুল গাজী, উপজেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আসমা আক্তারসহ বেশকিছু দলীয় নেতাকর্মীক বাস থেকে নামিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।তারা আমাদের অনেক নেতাকর্মিদের উপর হামলা ও করেছে। আহতদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও যেতে দিচ্ছে না ছাত্রলীগের কর্মীরা।
শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমরা কারো উপর হামলা করিনি। আর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতেও কাউকে বাধা দেয়নি।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম বলেন, একদিকে দুই দিন গণপরিবহন বন্ধ রাখছে অপরদিকে আগে যারা যাচ্ছে তাদের উপর হামলা হচ্ছে। তাদের আগ্রাসী আচারণ-ই বলে দিচ্ছে বিএনপির পক্ষে সাধারণ মানুষের যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই কারণে আওয়ামী লীগ ভীত হয়ে পড়েছে। কিন্তু কোনো বাধাতেই আমাদের কর্মীদের দমিয়ে রাখা যাবে না।