বাগেরহাটের শরণখোলার রাজাপুর বাজারে আগুনে ২১টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে দেড়কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। শুক্রবার (২৭ মে) ভোরে আকস্মিকভাবে এই অগ্নিকান্ড ঘটে। পরে ব্যবসায়ী, স্থানীয় বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিটের ঘন্টা দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারি পরিচালক মোঃ গোলাম সরোয়ার।
এদিকে আগুনের খবরে বাগেরহাট-৪(মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন, শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সংসদ সদস্য আমিরুল আলম মিলন।
ব্যবসায়ীরা জানান, হঠাৎ করে ফজরের দিকে বাজারে আগুন লাগে। মুহূর্তেই সব জায়গায় আগুন ছড়িয়ে যায়। এতে আমাদের অন্তত ২১টি দোকান পুরে গেছে। এই ক্ষতি আমরা কিভাবে পূরণ করব।
গামের্ন্টস ব্যবসায়ী আরিফুল মোল্লা বলেন, আগুনে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। দোকানের ১০ লক্ষ টাকার মালামাল পুরে গেছে। এখন কিভাবে খাব, আর কিভাবে দেনা পরিশোধ করব।
ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, আমার বিকাশের দোকান ও আমার এক নিকট আত্মীয়ের একটি মোবাইলের দোকান পুরে গেছে। মোবাইলের দোকানে ১৫০টি মোবাইলসহ অন্যান্য মালামাল পুরেছে। বাজারের সাথে শরণখোলা উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের সড়কে থাকা ব্রিজ ভাঙ্গা থাকায় ফায়ার সার্ভিস আসতে দেরি করেছে। যার ফলে আগুনে বেশি দোকান পুড়েছে বলে দাবি করেন এই ব্যবসায়ী।
ক্ষতিগ্রস্ত পার্সের দোকানদার হোসেন আলী বলেন, মালামাল পুড়ে আমার ১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া দোকানের ক্যাশ বাক্সে নগদ ২ লক্ষ টাকা ছিল। যা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে আমাদের ব্যবসায়ীদের দেড়কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
বাগেরহাট-৪(মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ব্যবসায়ীদের বিপুল পরিমান ক্ষতি হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়ে গেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারি পরিচালক মোঃ গোলাম সরোয়ার বলেন, আগুনের খবর পেয়েই আমি ঘটনাস্থলে এসেছ। শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জের দুটি ইউনিট নিয়ে প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টায় আমরা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছি। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য অনুযায়ী বৈদ্যুতিক গোলযোগের মাধ্যমে এই আগুন ধরেছে৷ আমরা ধারণা করছি, এতে ব্যবসায়ীদের অন্তত ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া আশপাশের লোকজনের প্রায় ৫কোটি টাকার মালামাল নিরাপদ স্থানে সরিয়েছে ফায়ার ফাইটাররা।
খুলনা গেজেট/ এস আই