কেশবপুরে চাঁদার টাকা না দেয়ায় এক ঘের মালিকের ঘেরের বেঁড়িবাধ কেটে মাছ ভাসিয়ে দেয়াসহ সাড়ে ৯ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়েগেছে। গত সোমবার বিকেলে ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা গ্রামের সৈয়দ আলরি ছেলে রবিউল ইসলাম কেশবপুর প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তিনি জানান, উপজেলার বিলখুকশিয়ার বিলে তার ১৭০ বিঘা জমির একটি মাছের ঘের রয়েছে। তার কাছে কেশবপুরের কানাইডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রশিদ, হাড়িয়াঘোপ গ্রামের সবুজ হোসেন, আড়–য়া গ্রামের সেলিম হোসেন মোল্যা মুকিতসহ ১০/১২ জন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা পথেঘাটে সবসময় তাকে ভয়ভীতি, হুমকি-ধামকিসহ ঘেরের ক্ষয়ক্ষতি অব্যাহত রাখে। এ ঘটনায় তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কেশবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। যার নং- ৩৮০। তাং- ০৯/০৪/২০২২। এ জিডি করার জের ধরে গত ৯ এপ্রিল বেলা ১১টায় প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘের মালিক রবিউল ইসলামের মাছের ঘেরে অনধিকার প্রবেশ করে ঘেরের পশ্চিম পাশের ১০/১২ হাত বেঁড়িবাধ কেটে মাছ পানিতে ভাসিয়ে দিয়ে ৮ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। এসময় ঘেরের কর্মচারীরা তাদের বাধা দিলে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়। পরে সন্ত্রাসীরা ঘেরের পাড়ে ১২/১৪টি বস্তায় রক্ষিত দেড়লাখ টাকার ১০/১২ মন সাদা ও চিংড়ি মাছ, ঘেরের টঙঘরের সোলার প্যানেল, ব্যাটারী, নেট, ডিজেলসহ ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে চলে যায়।
এ তিনি সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ করে কেশবপুর থানায় ও র্যাব-৬ লবনচোরা খুলনার অধিনায়ক বরাবরে পৃথক অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার দাবি জানিয়েছেন।