বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ করার দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে দায়ের হওয়া এই মামলার কথা নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ পরিচালক নাজমুল হাসান। লোক নিয়োগ এবং আবাহনী ক্রীড়া কমপ্লেক্স ও ডায়াবেটিস হাসপাতাল নির্মাণ না করে এই টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে মামলা দুটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার এ মামলা দু’টি দায়ের করেন (মামলা নং-১৭ ও ১৮)।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাগেরহাট পৌরসভার পাম্প চালক পদে কোনরুপ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিধি না মেনে পাম্প অপারেট হিসাবে দিপু দাসকেসহ মোট ১৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত মোট এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৩ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
এই মামলায় ১নং আসামী হিসাবে বাগেরহাট পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমানসহ মোট ১৮ জনের নামে মামলা করা হয়।
এই মামলায় অন্য আসামীরা হলেন, দিপু দাস (পাম্প অপারেটর), আসাদুজ্জামান (বাজার শাখার আদায়কারী), জ্যোতি দেবনাথ (সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক), মারুফ বিল্লাহ (সহকারী কর আদায়কারী), বালী শফিকুল ইসলাম (সহকারী কর আদায়কারী), শারমিন আক্তার বনানী (বিল ক্লার্ক, পানি শাখা), মো. হাচান মাঝি (ট্রাক চালক), হাসনা আক্তার (সুইপার সুপারভাইজার), মো: জিলানী (সুইপার সুপারভাইজার), তানিয়া (এমএলএসএস), অর্পূব কুমার পাল (পাম্প চালক), নিতাই চন্দ্র সাহা(পাম্প চালক), মোহাম্মদ মেহেদী হাসান (সহকারী পাম্প চালক), মো. সৌদি করিম (সহকারী কর আদায়কারী), সাব্বির মাহমুদ (সহকারী কর আদায়কারী), পারভিন আক্তার (সহকারী কর আদায়কারী) ও সেতু পাল পূজা (হেলথ ভিজিটর)। তারা সকলেই পৌরসভার সাবেক কর্মী ছিলেন।
একই বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ বাগেরহাট পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমানসহ দুই জনের নামে এক কোটি টাকা প্রকল্পের কাজ না করে আত্মসাৎ করার দায়ে পৃথক আরও একটি মামলা দায়ের করেন।
এই মামলার এজাহারে বলা হয়, বাগেরহাট ডায়াবেটিকস হাসপাতাল এবং আবাহনী ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ বাবদ দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পৌর মেয়র এই নির্মাণ কাজ না করেই দুই কোটি টাকা হতে এক কোটি টাকা উঠিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেন। পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান এবং পৌর সভার সাবেক সচিব বর্তমানে মাগুরা পৌর সভার সচিব মো: রেজাউল করিমের নামে এই মামলা দায়ের করা হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম