খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ পৌষ, ১৪৩১ | ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট

অভয়নগরে চাকরি দেওয়ার নামে নয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ : থানায় মামলা

অভয়নগর প্রতিনিধি

যশোরের অভয়নগর উপজেলার দেয়াপাড়া গ্রামের এক বেকার যুবকের কাছ থেকে সেনা বাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এলাকার একটি চক্র ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং: ২৬, তারিখ: ৩১/৭/২০২০।

দেয়াপাড়া গ্রামের কৃষক নূর ইসলাম মোল্যার শিক্ষিত বেকার ছেলে তুহিন মোল্যাকে সেনা বাহিনীতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। উপজেলার বারান্দি গ্রামের কাশেম গাজীর ছেলে আকিজ উদ্দিন টুকু (৩৮) ও পায়রা গ্রামের জিন্নাহ মাওলানার ছেলে গ্রাম্য ডাক্তার জাহিদুল ইসলাম (৩৭) ও চৌগাছা উপজেলার হাজীপুর গ্রামের জহিরুল ইসলাম নামে এক যুবক মিলে ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

থানার অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তুহিন মোল্যাকে সেনা বাহীনিতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায় আকিজ উদ্দিন টুকুন ও জাহিদুল ইসলাম। এজন্য তাদের ১০ লাখ টাকা দেওয়ার দাবি করে। পরে তুহিনের পরিবার বিভিন্ন সাক্ষ্য প্রমাণের ভিক্তিতে জাহিদুল ও টুকুনের হাতে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর তারিখে ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা তুলে দেয়। এর কয়েক দিন পরে তারা তুহিনকে নিয়ে যশোরে কালেকটর অফিসের পার্কে নিয়ে তুহিনকে জুহিরুল ইসলামের সাথে পরিচয় করে দিয়ে বলে উনি আর্মির মেজর। পরে জহিরুল ইসলাম ও নিজেকে সেনা বাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে নিয়োগ বোর্ডের একজন সদস্য দাবি করে।

তিনি তুহিনকে বলেন, তোমার কোন চিন্তা নেই আমি চাকরির সব ব্যবস্থা করে দেবো। গত ২৪ জানুয়ারি সেনা বাহিনীতে যোগদানের জন্য তারা তুহিনকে খাগড়াছড়ি সেনা ক্যাম্পে যেতে বলেন। চাকরিতে যোগদানের জন্য তুহিন ২০ জানুয়ারি বাড়ি থেকে খাগড়াছড়িতে যায়। এর পর তুহিনের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায় না। এসময়ে টুকু ও জাহিদুল আবার তুহিনের পিতার কাছে আসে।

তারা বলেন, তুহিন ট্রেনিংয়ে সমস্যায় পড়েছে তার জন্য আরো চার লাখ টাকা দিতে হবে । এ সময়ে তুহিনের পিতা ওই টাকা দিতে অসামর্থ্য প্রকাশ করে। তারা পরে চার লাখ টাকার নিরাপত্তা বাবদ দুইটি চেক ও একটি সাদা স্টাম্পে তুহিনের পিতার স্বাক্ষর নেয়। ৫৬ দিন পরে তুহিন হটাৎ করে বাড়ি ফিরে আসে। তুহিন বাড়ি ফিরে জানায় এতদিন তাকে খাগড়াছড়ির একটি জরাজীর্ণ ঘরে আটকে রাখা হয়েছিলো। সেখানে তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হতো এবং টয়লেট পরিস্কার করানো হতো।

এ ঘটনায় তুহিনের চাচা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আকিজ উদ্দিন টুকু গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে রয়েছেন। আদালতে সে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে জানিয়েছে, আমি টাকা নিয়ে জাহিদকে দিয়েছি। পরে জাহিদ ও আমি যশোরে জহিরের কাছে আসি। জহির নিজেকে আর্মির রিকুইটিং অফিসার দাবি করে। আমি তাকে তুহিনের জন্য তার কাছে ৮০ হাজার টাকা দিয়েছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জহিরুল ইসলামের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাকে এলাকার কোখাও খুজে পাওয়া যায় নি।

আজ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সাথে তুহিনের চাকরির ব্যাপারে টাকা পয়সার একটা লেনদেন হয়েছিলো।আমরা এ বিষয়ে মীমাংসার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। আপনি কোন সংবাদ পরিবেশন করবে না।’

এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কি না জানতে আদালতে গ্রেফতার টুকুর জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!