খুলনা, বাংলাদেশ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় কিশোরগঞ্জের এসপি ও ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা প্রত্যাহার এবং কিশোরগঞ্জে দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও এসবির এক কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
  ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কায় নিহত ৫, গুরুতর আহত আরও ১০

সুন্দরবনের কোলঘেঁষে গড়ে ওঠা খোড়লকাটি বাজার

কয়রা প্রতিনিধি

আমাদের বাজারে ভালো কোন দোকানপাট নেই, উন্নত মানের কোন চিকিৎসালয় নেই, বাজারটার বয়স ৫০ বছর হয়ে গেছে। সবজিনিস আমাদের বাজারে পাওয়া যায় না। কাঁচা তরিকারি, মাছ-মাংসও পাওয়া যায় না। যে কয়টা দোকান আছে, তারা সব জিনিস বিক্রি করে না। যদি একটু মাংস খেতে মন চায় তালি ১০০ টাকা খরচ করে গিলাবাড়ি, কয়রা বাজারে গিয়ে কিনে আনতি হয়। বাড়ি মেহমান আসলি টাকা থাকলিও সব জিনিস কিনে খাতি দিতি পারি না। বৃহস্পতিবার ( ৮ মে) বিকেলে সুন্দরবনের পাশে গড়ে ওঠা খোড়লকাটি বাজার সম্পর্কে এভাবে কথাগুলো বলেছিলেন বাজারের পার্শ্ববর্তী মহেশ্বরীপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম ভুট্টো।

আরেক বাসিন্দা মো. শাহিন বলেন, বাজারে নেই কোন ভাল হোটেল। পাওয়া যায় না উন্নত মানের মিষ্টি। যদি একটা লোক অসুস্থ হয়ে যায় ভাল ওষুধ মেলেনা। বাজারে বসে না ভাল চিকিৎসক। যাতায়াত ব্যবস্থা মোটেও ভাল না। একটা লোক অসুস্থ হয়ে গেলে ২০০ টাকা খরচ করে জায়গীর মহল হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে হয়। আমাদের বাজারে নেই কোন টয়লেট।

একই গ্রামের জামাল বলেন, এই হাটে একটা লঞ্চঘাট আছে। সেখানে লঞ্চ ধরে, কিন্তু নেই একটা পল্টন। লোকজন লঞ্চে যাতায়াতের জন্য ঘাটে গেলে রোদ-বর্ষা-কুয়াশা তাদের মাথার উপর দিয়ে যায়। সপ্তাহে ১দিন বিকেলে খোলা আকাশের নিচে বাজার বসে সেখান থেকে আমরা কাঁচামাল কিনি। যদি হাটে টাকার অভাবে বাজার করতে না পারি তাহলে আমাদের সারা সপ্তাহ কষ্টে কাটে। আমাদের ২ গ্রামের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য খুব কষ্ট হয়।

নাজমুলসহ মহেশ্বরীপুর গ্রামের একাধিক ব্যাক্তি বলেন, আমাদের বাজারে কেউ বড় দোকান করতে চায় না। তার কারণ হলো পাশে সুন্দরবন। জলদুস্যদের ভয়ে কেউ বাজারে বড় দোকান করে না, যদি লুটপাট হয়। আমাদের জীবন-যাপন খুব কষ্টে কাটে।

সরজমিনে দেখা যায়, কয়রা উপজেলার খোড়লকাটি বাজারটি সুন্দরবনের পাশে গড়ে ওঠেছে। রাস্তার ২ সাইড দিয়ে দোকান হয়েছে। বেশির ভাগই চায়ের দোকান, মুদী ও ওষুধের দোকান রয়েছে তবে সেখানে সব পণ্য পাওয়া যায় না। নেই ভাল হোটেলও নিয়মিত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস না পাওয়া গ্রামবাসীদের খুব কষ্টে জীবন কাটাতে হয়।

এ সময় কয়েকজন ব্যবসায়ের সাথে কথা হলে তারা বলেন, যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হলে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল জিনিস পাওয়া যাবে। বাজারে একটি টয়লেট ও লঞ্চঘাটের একটি যাত্রী বিশেষ প্রয়োজন।

স্থানীয় ইউ পি সদস্য মো. মিজানুর রহমান বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকার কারণে বাজারে ব্যবসায়ীরা মালামাল নিয়ে আসতে পারে না। আমাদের বাজারে একটি টয়লেট ও লঞ্চঘাটের একটি যাত্রী ছাউনি খুবই প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি যাতায়াতের জন্য রাস্তাঘাট গুলো সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!