খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৮শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪

কয়রায় স্কুল চলাকালীন শিক্ষকের ওপর হামলা

কয়রা প্রতিনিধি

খুলনা কয়রায় এক প্রাইমারী স্কুলে ক্লাস চলাকালীন সময়ে শ্রেনী কক্ষে ঢুকে নুরুল ইসলাম নামের এক সহকারী শিক্ষককে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শ্রণিকক্ষের মধ্যে থাকা শিক্ষার্থীরা ভয় পায়। বুধবার (৭ মে) বিকেল আনুমানিক ৩টার দিকে বায়হারহানিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। তিনি বায়লারহানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এ ঘটনায় স্কুলের অভিভাবক ও শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্কুল ভবনের নিচতলায় চতুর্থ শ্রেণির ক্লাসে ছিলেন সহকারী শিক্ষক মোঃ নুরুল ইসলাম। এ সময় হঠাৎ করে স্থানীয় একা ব্যক্তি শ্রেণিকক্ষের ভিতরে ঢুকে শিক্ষককে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় শিক্ষকের হাতে থাকা নির্দেশিকা কাঠি তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে তাকে মারপিট করতে থাকে এবং ক্লাস থেকে ধরে নিয়ে স্কুলের মাঠে নিয়ে যায়। ধস্তাধস্তিতে শিক্ষকের গায়ে থাকা পাঞ্জাবি ছিড়ে যায়। শিক্ষকের পকেটে থাকা নগদ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। স্কুলে পাশে থাকা ফাস্টফুড বিক্রেতা এক নারী চিৎকার করলে স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা বের হয়ে ঐ যুকবের কাছ থেকে লাঠি কেড়ে নিয়ে শিক্ষককে রক্ষা করে।

বায়লারহানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা বিথী বিশ্বাস বলেন, আমি উপরের তলায় ক্লাসে ছিলাম। ক্লাস শেষে অফিসে এসে দেখি স্যার অফিসের ভিতরে এসে দাড়িয়ে আছে। স্যারের গায়ে থাকা পাঞ্জাবি ছেঁড়া ও স্যার খুব কাপছে। পরে ছেলে-মেয়েদের কাছে শুনতে পাই স্যারকে এক লোক ক্লাসে এসে গালিগালাজ ও মারপিট করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ মুজাহিদ হোসেন (লাটুম) বলেন, আমি উনার কাছে টাকা পাবো, উনার বাড়িতে গিয়ে উনাকে খুঁজে পাইনি তাই ওনার প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলাম সেই টাকা চাইতে। ঐ শিক্ষককে মারপিট করার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।

বায়লারহানিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ আজিজুন্নাহার বলেন, আমি মিটিংয়ে ছিলাম। মোবাইলে খবর শুনে বিষয়টা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করি। শিক্ষকের মারপিটের এই ঘটনার আমি ন্যায় বিচার চাই।

কয়রা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুমার কর্মকার বলেন, স্কুলের হেড স্যার বিষয়টা আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন।

খুলনা গেজেট/এমএনএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!