যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি বদিউজ্জামান ধনিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। ধনি চোপদারপাড়া মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে নাজির শংকরপুরের আকবরের মোড়ে।
ধনি যুবলীগ কর্মী ইয়াসিন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। ওই মামলায় কয়েকদিন আগে তিনি জেল থেকে বের হয়েছেন।
নিহত ধনীর ভাই মনি জানান, ধনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন। এমন সময় অজ্ঞাত ৮/১০ জন লোক ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধনির উপর আতর্কিত হামলা চালায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, নিহত ইয়াসিনের এক নিকট আত্মীয়ের নেতৃত্বে তার উপর হামলা চালানো হয়েছে। ওই আত্মীয়ের বাবার সাথে ধনির ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব চলছিলো। এর জেরেই হত্যা করা হয়েছে তাকে।
এদিকে ধনির মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে যান খুলনা বিভাগীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ জেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দ। তারা দ্রুত হত্যার সাথে জড়িতদের আটকের দাবি জানান।
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা বলেন, এঘটনায় কারা জড়িত তা কারো অজানা নয়। তিনি জড়িতদের আটকে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও ডিবির অফিসার ইনচার্জ রুপণ কুমার সরকার জানান, খবর শুনে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
এ বিষয়ে র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানী কমান্ডার নাজিউর রহমান জানান, তিনি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। র্যাবের পক্ষ থেকে ছায়া তদন্ত চলছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের কনসালটেন্ট ডাক্তার এনকে আলম বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রচুর রক্তক্ষরণের কারনে তার মৃত্যু হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি পুলিশ পরিদর্শক তাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে একাধিক পুলিশ টিম মাঠে কাজ করছে। কি কারনে, কারা ধনিকে হত্যা করেছে পুলিশ তা খুজে বের করবে। পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই