প্রাইভেট কারে করে কোরবানীর ছাগল চুরির ঘটনায় স্থানীয় জনগনের সহায়তায় পুলিশ আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৩ সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কেশবপুর উপজেলার রাজনগর বাঁকাবরশী গ্রামে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার দিনগত রাতে ওই গ্রামের জামসেদ মোড়লের ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ২টি কোরবানীর ছাগল চুরি হয়ে যায়। শনিবার দিনভর খুঁজাখুঁজির পর জানতে পারে ছাগল চুরি হয়ে যাওয়ার পরপরই ওই রাতে স্থানীয় নতুন হাট বাজার দিয়ে দ্রুত গতিতে একটি প্রাইভেট কার ডিউটিরতদের সিগনাল না মেনে পার হয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে দেখে, ওই কারটির চালক ছিল একই গ্রামের গাঁজা স¤্রাট মনির ছেলে এমরানের। শনিবার সন্ধারাতে সন্ধাতিতভাবে জনগন এমরান ও একই এলাকার হযরত দরদারের ঝেলে আশরাফকে ধরে ফেলে। একপর্যায়ে গনধোলাই তারা ছাগল চুরির কথা শিকার করে।
সংবাদ পেয়ে কেশবপুর থানার এস আই গোরাচাঁদ ঘটনাস্থলে পৌছান। দারোগার কাছে জবানবন্দিতে প্রাইভেট কার চালক এমরান ছাগল চুরির কথা শিকার করে বলেন, কয়েক দিন আগে সেসহ নিজাম মোড়লের ছেলে মিন্টু, হযরত সরদারের ছেলে আশরাফ, সোহরাব সরদারের ছেলে ইসরাফিল ও মুনসুর সরদারের ছেলে লিটন গোপন বৈঠকের মাধ্যমে জামসেদ মোড়লের ছাগল চুরি পরিকল্পনা করা হয়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী শুক্রবার গভীর রাতে ওই ছাগল দুটি চুরি করে তার প্রাইভেট কারে করে জানপুর গ্রামে ইসরাফিলের দুলাভাই রুহুল কুদ্দুসের বাড়ীতে রেখে আসা হয়। ওই রাতে পুলিশ এমরান ও আশরাফকে নিয়ে জানপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে রুহুল কুদ্দুসকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ওই রাতেই ছাগল মালিক জামসেদ মোড়লের ছেলে মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে ৬ জনের নামে মামলা করেন। যার মামলা নং-১৮। তারিখ-২৬-০৬-২০২১ ইং। এঘটনায় ছাগল বহনকারী প্রাইভেটকারটি পুলিশ জব্দ করেছে। আটক ৩ চোরকে পুলিশ যশোর আদালতে প্রেরন করলেও বাকী আসামীরা এখনও ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বোরহান উদ্দীন জানান, ছাগল চুরির ঘটনায় আটত ৩ চোরকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। ব্যবহৃত কারটি জব্দ করা হয়েছে ও বাকী চোরদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা গেজেট / আ হ আ