কেউ বীজ রোপনে ব্যাস্ত, কেউ নিড়ানিতে আবার কেউ সার কীটনাশকসহ পানি সেচে ব্যাস্ত সময় পার করছে। দম ফেলার যেন সময় নেই কারো। গত বছর খরার মধ্যেও তরমুজে ভাল ফলন হওয়ায় এবছর তরমুজ চাষে বেশী আগ্রহ দেখাচ্ছেন কৃষকেরা। তাই নারী পুরুষ মিলে দিন ভর তরমুজ খেতে পরিচর্যায় ব্যাস্ত সময় পার করতে দেখা যায় উপকূলীয় লবণাক্ত অঞ্চল খুলনার কয়রায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আমাদী, বাগালী ও মহারাজপুর ইউনিয়নে এবছর ৮০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গতবছরের তুলনায় এবছর ২৫০ হেক্টর জমিতে বেশি তরমুজ চাষ হবে আশা করছেন উপজেলা কৃষি অফিস।
নিজের দুই বিষা জমি ও এক বিঘা জমি লিজ নিয়ে উপজেলার আমাদি ইউনিয়নের চন্ডীপুর বিলে এবছর প্রথম তরমুজ চাষ করছেন রনজীত বিশ্বাস।
গত বছর খরার মধ্য তরমুজ চাষে ভাল লাভ হওয়ায় প্রথমবারের মত তরমুজ চাষ করেছেন। তিনি তার তিন বিঘা জমিতে পাকিজা ও ড্রাগন দুই জাতের তরমুজ বীজ রোপন করেছেন। কিছু বীজে চারা দেখা দিয়েছে। দুই একদিনের মধ্য সব বীজে চারা দেখা যাবে। এবছর আবহাওয়া তরমুজ চাষের অনুকূল হওয়ায়। তিনি আশা করছেন এবছর বাম্পার ফলন পাবেন।
একই বিলের তরমুজ চাষি ধ্রুব মন্ডল বলেন, গত বছর পাঁচ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে প্রায় দুই লক্ষ টাকার মত লাভ হয়। এবছর ৫ হাজার টাকা করে প্রতি বিঘা জমি লিজ নিয়ে ১১ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করছেন। তিনিও আশা করছেন এবছরও লাভবান হবেন।
সনজয় ঢালী গত বছর সাড়ে তিন বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। এবছর আরও বেশী লাভের আশায় নিজের ৩০ হাজার টাকা সহ সমিতি থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ এবং মাসে হাজারে ৫০ টাকা হারে সুদে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ১১ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। কয়েক দিনের মধ্য সকল জমিতে চারা বের হবে আশা করছি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, এবছর উপজেলার আমাদী,বাগালী ও মহারাজপুর ইউনিয়নে তরমুজ চাষ হয়েছে। গতবছর কৃষকেরা তরমুজ চাষে ভাল লাভবান হয়েছিলেন। যার ফলে এবছর উপজেলায় গতবারের তুলনায় বেশী জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকূলে থাকলে এবছরও উৎপাদন অনেক ভালো হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই