যশোর সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও মেম্বর পদে সহস্রাধিক প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সোমবার উপজেলা পরিষদ, জেলা নির্বাচন অফিস ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে স্ব স্ব রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে প্রতীক গ্রহণ করেন প্রার্থীরা। এ সময় উৎসবমূখর পরিবেশ বিরাজ করে প্রার্থী ও সমর্থকদের মাঝে।
সোমবার প্রতীক পেয়েই অধিকাংশ প্রার্থী পোস্টার ও লিফলেট ছেপে ফেলেছেন। প্রতিটি ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে নির্বাচনী আমেজ। অনেক প্রার্থী শ’ শ’ নেতাকর্মী নিয়ে এলাকায় শোডাউন করেন। রাস্তাঘাট, দোকানপাট কিংবা গ্রামের ওলিগলিতে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা। মুখরিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন এলাকা। ইউনিয়নে কে হতে পারেন আগামীর চেয়ারম্যান এ নিয়ে দোকানপাটে চায়ের কাপে চলছে কর্মী-সমর্থকদের আলাপ আলোচনা। পোস্টার ছাপাতে শহরের প্রেসগুলোতে শুরু হয়েছে ব্যস্ততা। আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদে নির্বাচন।
হৈবতপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আবু সিদ্দিক, মোটরসাইকেলের হরেণ কুমার বিশ্বাস, হাতপাখার সোহরাব হোসেন ও আনারসের আহম্মদ আলী ভোটের মাঠে নেমেছেন। এদিকে, লেবুতলায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত আলীমুজ্জামান মিলনকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার। এর আগে প্রার্থী শহিদুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এরপর তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে আপিল করেছেন বলে জানা গেছে।
ইছালীতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকার ফেরদৌসি ইয়াসমিন, ঘোড়া প্রতীকের সিরাজুল ইসলাম, হাতপাখায় আব্দুল কাদের, চশমায় জাহিদুল ইসলাম, মোটরসাইকেলে আয়ুব হোসেন, আনারসে আজিজুর রহমান ও গোলাপ ফুলে সাইফুর রহমান। নওয়াপাড়ায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকার রাজিয়া সুলতানা, মোটরসাইকেলে হুমায়ুন কবীর তুহিন, আনারসে আলতাফ হোসেন, ঘোড়ায় কাজী আলমগীর হোসেন, হাতপাখায় মোশারফ হোসেন ও চশমা প্রতীকে আসাদুল ইসলাম ঝন্টু।
উপশহর ইউনিয়নে নৌকার এহসানুর রহমান লিটু ও আনারস প্রতীকে শওকত হোসেনের মধ্যে লড়াই হবে। কাশিমপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকার শরিফুল ইসলাম, আনারসে মোস্তফা এনামুল বারী, মোটরসাইকেলে বিএম সাইফুল ও ঘোড়া প্রতীকে আইয়ুব হোসেন।
চুড়ামনকাটিতে নৌকার দাউদ হোসেন, আনারসে আব্দুল মান্নান মুন্না, হাতপাখায় আব্বাস উদ্দিন বিশ্বাস, টেলিফোনে আলমগীর কবির, চশমায় গোলাম মোস্তফা, গোলাপ ফুলে মতিয়ার রহমান, অটোরিকশায় সাইফুল ইসলাম ও মোটরসাইকেল প্রতীকে মোহাম্মদ বাদশা।
দেয়াড়ায় ভোট যুদ্ধে নেমেছেন নৌকার লিয়াকত আলী, আনারসে আনিছুর রহমান, ঘোড়ায় জিয়াউল হক, মোটরসাইকেলে মাসুদ রানা ও হাতপাখায় আব্দুল্লাহ। আরবপুরে নৌকার মীর আরশাদ আলী, আনারসে সামসুর রহমান, মোটরসাইকেলে খন্দকার ফারুক আহমেদ, টেবিল ফ্যানে কাজী কাসেম, ঘোড়ায় নুরুল ইসলাম, হাতপাখায় হাবিবুর রহমান, চশমায় আসাদুজ্জামান ও গোলাপ ফুলে গাজী রফিকুল ইসলাম।
চাঁচড়ায় নৌকার সেলিম রেজা পান্নু, আনারসে শামীম রেজা, হাতপাখায় শামসুর রহমান ও মোটরসাইকেলে ফারুখ হোসেন। রামনগরে নৌকার নাজনীন নাহার, চশমার আফজাল হোসেন, মোটরসাইকেলে মাহমুদ হাসান লাইফ, হাতপাখায় আব্দুস সাত্তার, ঘোড়ায় মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, আনারসে এমদাদুল হক, অটোরিকশায় জুলেখা বেগম ও টেলিফোনে মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
ফতেপুরে নৌকার শেখ সোহরাব হোসেন, টেবিল ফ্যানে রবিউল ইসলাম, ঘোড়ায় ফাতেমা আনোয়ার, হাতপাখায় ওসমান গণি, মোটরসাইকেলে আলমগীর হোসেন ও আনারস প্রতীকে শিল্পী খাতুন। কচুয়ায় নৌকার লুৎফর রহমান ধাবক, হাতপাখায় বাবুল হুসাইন, মোটরসাইকেলে শেখ মাহমুদ হোসেন, চশমায় আব্দুর রশিদ, অটোরিকশায় মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ঘোড়ায় কাজী হাফিজুর রহমান ও আনারসে হাফিজুর রহমান খান।
নরেন্দ্রপুরে নৌকার মোদাচ্ছের আলী, আনারসের রাজু আহমেদ, হাতপাখায় ওলিয়ার রহমান, মোটরসাইকেলে জাকির হোসেন ও ঘোড়ায় হোসেন ফেরদৌস আলম। বসুন্দিয়ায় নৌকার রিয়াজুল ইসলাম খান রাসেল, লাঙ্গলে তুহিন খান, আনারসে শেখ শাহাবুদ্দীন, মোটরসাইকেলে নুরুজ্জামান খান ও ঘোড়ায় মমিনুল ইসলাম আমিনুল চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই
