খোলপেটুয়া নদীর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ

শ্যামনগর প্রতিনিধি

খোলপেটুয়া নদীর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করেছে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার সকাল থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুনের নেতৃত্বে উপজেলার বড়কুপোট এলাকা থেকে তাদের উচ্ছেদ করা হয়।

এর আগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও দখলদাররা তাতে গুরুত্ব দেয়নি। বরং নতুন করে ইট, বালু ও ইটের টুকরা ফেলে ও চরের গাছ কাটায় ঝুঁকিতে থাকা উক্ত নদীর পশ্চিম তীরের বিস্তৃত অংশ দখলের অপচেষ্টা চালায় তারা।

স্থানীয় দখলদার কর্তৃক অব্যাহতভাবে খোলপেটুয়া নদীর চর দখল নিয়ে গত ১৩ জুলাই দ্য এডিটরসে সচিত্র প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। পরবর্তীতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দখলকৃত নদীসহ নির্মিত অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য জামান এন্টারপ্রাইজ, আল্লাহর দান এন্টারপ্রাইজসহ অন্যদের সময় বেঁধে দেয়া হয়। কিন্তু নিজেদের উদ্যোগে দখলকৃত নদী ও তদসংলগ্ন চর অবমুক্ত না করায় সোমবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান চালায় প্রশাসন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন, উপজেলা জামায়াতের আমির মওলানা আব্দুর রহমান, বিএনপি নেতা আব্দুস সবুর, স্থানীয় চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবুসহ প্রশাসনের অপরাপর কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন জানান, সুন্দরবন সংলগ্ন খোলপেটুয়া নদী দখলে নিয়ে তারা ইট বালুর আড়ত গড়ে তুলেছিল। অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করতে গিয়ে এসব দখলদারগণ অনেক স্থানে চরে গাছ কেটে ফেলেছে। দীর্ঘদিনেও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ধীরে ধীরে দখলবাঁজরা চর পেরিয়ে নদীর মধ্যে ঢুকে পড়েছে। বাধ্য হয়ে নদী রক্ষার অংশ হিসেবে এসব দখলদারদের কবল থেকে চরসহ নদী উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন