সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, “নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে নাগরিকদের মনের ভিতরে এখনো যে শঙ্কা ও ভীতি, এই ভীতি এবং শঙ্কাকে দূর করতে হবে। এই শঙ্কা এবং ভীতিকে দূর করতে হলে সরকার, প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনকে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। আরও সততার সাথে, আরও মুক্তভাবে আলোচনার মাধ্যমে এই আস্থাকে জাগাতে হবে। জনগণ যদি আস্থা না পায় তাহলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। এই জায়গাটাকে পূরণ করতে হবে।”
গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনায় নাগরিক প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে আয়োজিত প্রাক-নির্বাচনী আঞ্চলিক পরামর্শ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশ নির্বাচনের দিকে আগাচ্ছে। নির্বাচন অবসম্ভাবী হয়ে উঠেছে। কিন্তু কি নির্বাচন আমরা পাবো, সেটি নিয়েও আমাদের শঙ্কা রয়ে গেছে। উদ্বেগের বিষয় হলো সকলেই নির্বাচন কমিশনের বর্তমান উদ্যোগ, প্রচেষ্টা, কর্মসূচি বা নীতি প্রণয়ন নিয়ে উনারা সন্তুষ্ঠ না। উনারা আশঙ্কায় আছেন এই নির্বাচন কমিশনই যথেষ্ঠ যোগ্যতার সাথে সুষ্ঠু নির্বাচন একটি সম্পাদন করতে পারবে কিনা ? উনারা প্রত্যাশা করেন সরকার এবং নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষেত্রে মানুষের মনে এখনো যে শঙ্কা রয়েছে সেটি দূর করবেন।
সভায় স্থানীয় নাগরিকরা খুলনায় চিংড়ি চাষ নিয়ে সৃষ্ট সংকট, ন্যায্যমূলে কৃষি পণ্য সরবরাহ, উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ, সুন্দরবন ভিত্তিকে পর্যটন শিল্পের বিকাশ, কাঁকড়া চাষ বৃদ্ধি, নিরাপদ পানি সরবরাহ, নদী-খাল খনন এবং মোংলা বন্দরকে রক্ষার দাবি জানান।
বক্তৃতা করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপের সদস্য ও সিপিডির আরেক সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন হেলাল, খুলনা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির মাহফুজুর রহমান, খুলনা মহানগর ইসলামী আন্দোলনের সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন।
খুলনা গেজেট/এনএম

