খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রায় সামাজিক বনায়ন গড়ে তুলতে গুচ্ছ গ্রামে বৃক্ষরোপন করা হচ্ছে। তবে অজানা কারণে উপযুক্ত সময়ে রোপণ না করে চৈত্রের খরতাপে লাগানো হচ্ছে গাছের চারা। বিষয়টি নিয়ে নানা কৌতুহল দেখা দিয়েছে এলাকাবাসির মধ্যে।
বসবাসকারীদের বাড়ির সামনে লাগিয়ে তাদেরকে পরিচর্যা করতে বলা হয়েছে। তারা পানি দিয়ে নিয়মিত যত্ন নিচ্ছে। আশা করি গাছগুলো বেড়ে উঠতে কোন সমস্যা হবে না। তিনি আরও বলেন, ব্যস্ততার কারণে যথাসময়ে চারা রোপন করা হয়ে ওঠেনি। – প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা
সরেজমিন উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি গুচ্ছগ্রামে ২৭ মার্চ শনিবার যেয়ে দেখা যায় ফলদি, ঔষধি ও বনজ বৃক্ষের চারা রোপন করা হচ্ছে। অসময়ে চারা রোপন করা দেখে এই প্রতিবেদক ৩১ মার্চ বুধবার পুনরায় গুচ্ছ গ্রামে যান চারা দেখতে। তখন দেখেন সম্প্রতি লাগানো অধিকাংশ চারা রৌদ্রের তাপদহে শুকিয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারী ও সচেতন মহল বলেন, বৃক্ষরোপন কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার যে চারা রোপন করছে সেটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে উপযুক্ত সময়ে রোপন করা উচিত ছিল। চৈত্রের তীব্র রোদ্র ও গরমের মধ্যে বালুর উপর গাছগুলো লাগানোয় বাঁচানো কষ্ট হয়ে যাবে। ফলে প্রকল্পের প্রকৃত উদ্যেশ্য ব্যাহত হবে। তারা আরও বলেন, এসময় রৌদ্রের প্রচন্ড তাপদাহে পুকুরের পানি শুকিয়ে যায়, সেখানে চারা গুলো বাচবে কি করে?
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানাযায়, ২০১৯/২০ অর্থবছরে ২য় পর্যায়ে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের আওতায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রায় ২ হাজার ৪ শত ফলদি, ঔষধি ও বনজ বৃক্ষ উপজেলা বিভিন্ন স্থানে রোপন করা হচ্ছে।
সদর ইউনিয়নের গোবরা গ্রামে ২২০ পরিবার, বাগালি ইউনিয়নের শেওড়া গ্রামে ৬০ পরিবার ও মহারাজপুর ইউনিয়নের ১৭০ পরিবারের প্রত্যেকের ঘরের সামনে ৩টি বৃক্ষ রোপন করার কথা রয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাগর হোসেন সৈকত বলেন, বসবাসকারীদের বাড়ির সামনে লাগিয়ে তাদেরকে পরিচর্যা করতে বলা হয়েছে। তারা পানি দিয়ে নিয়মিত যত্ন নিচ্ছে। আশা করি গাছগুলো বেড়ে উঠতে কোন সমস্যা হবে না। তিনি আরও বলেন, ব্যস্ততার কারণে যথাসময়ে চারা রোপন করা হয়ে ওঠেনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, এখন কেন গাছ লাগালো সেটা জানিনা। আরও আগে গাছ লাগানোর কথা বলেছি। তবে কিছুদিন অপেক্ষা করে বৃষ্টির সময় গাছ লাগানো উচিত ছিলো।
খুলনা গেজেট/ টি আই