খুলনা নগর জাপার সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলার রায়ে বিচারক উল্লেখ করেছেন, মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি ১৬৪ ধারায় হত্যাকান্ডে জড়িত চারজনের নাম বললেও তদন্তকারী কর্মকর্তা কোন আইনগত ব্যাখ্যা ছাড়াই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেননি।
সোমবার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের জজ মোঃ সাইফুজ্জামান হিরো এ মামলার রায়ে উল্লেখ করেন, পলাতক আসামি তারিক হোসেন স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করেছেন। আসামি বলেছে কাশেম ও তার ড্রাইভার মিকাইল হত্যাকান্ডে তার সহযোগী আসামি সোহেল, সেলিম, দিপু ও পাভেল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি’র সহকারী পুলিশ সুপার খন্দকার ইকবাল কোন আইনগত কারণ বা ব্যাখ্যা ছাড়াই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেননি।
এছাড়া রায় ঘোষণার পর শেখ আবুল কাশেমের পরিবারের সদস্যদের অসন্তোষের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরিফ মাহমুদ কাঙ্খিত রায় না পাওয়ার জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে দোষারোপ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল খুলনা থানার প্রায় সন্নিকটে শেখ আবুল কাশেম ও তার ড্রাইভার মিকাইল হোসেন খুন হন।