খুলনার খানজাহান আলী থানায় দায়ের করা পর্নোগ্রাফি মামলায় আসামি ফয়সাল মাহমুদ সোহান ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আহমেদের আদালতে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। সে মাত্তমডাঙ্গা পূর্বপাড়ার শাহিন হাওলাদারের ছেলে। জবানবন্দি শেষে আজ বুধবার সন্ধ্যায় সোহানকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, স্কুলে আসা যাওয়ার পথে আটরা শ্রীনার্থ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছ্ত্রাীকে সোহান প্রায়ই উত্তক্ত এবং প্রেম নিবেদনসহ বিভিন্ন কু প্রস্তাব দিত। উক্ত ছাত্রী ঘটনাটি তার মাকে খুলে বলে। সোহানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়েও তোলা হয়। এমনকি একসময় মোবাইলে ভিডিও কলে কথা চলতে থাকে। চতুর সোহান সুযোগ বুঝে স্কিনশট দিয়ে তার কিছু ছবি তুলে নেয়। এ ছবি নেওয়ার পর সে উক্ত ছাত্রীকে কু প্রস্তবের হুমকি দেয় এবং রাজি না হলে এ ছবিগুলো ইন্টানেটে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানায়।
সোহান ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর উক্ত ছাত্রীকে মোবাইলে বাসায় ডেকে নেয় তার মায়ের অসুস্থতার কথা বলে। সকাল সাড়ে ১১ টায় সোহানের বাড়ি গেলে তাকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে বিবস্ত্র করে কিছু ছবি তুলে নেয়। সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে এসে ঘটনাটি তার মায়ের কাছে খুলে বলে স্কুল ছাত্রী।
বিয়ের জন্য স্কুলছাত্রীর পরিবার তড়িঘড়ি করছে জানতে পেরে সোহান আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে মেয়ের চাচাতো ভাইয়ের কাছে পূর্বের ধারণকৃত ছবি গুলো পাঠিয়ে দেয়। ঘটনাটি তার চাচাকে জানিয়েছে জানতে পেরে স্কুলছাত্রী মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এরপরও থেমে থাকেনি সোহান। প্রতিনিয়ত কু প্রস্তাব ও হুমকি দিতে থাকে।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সোহানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য স্কুলছাত্রী সরাসরি খুলনা পিবিআই কার্যালয়ে আবেদন করে। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পিবিআই কর্মকর্তারা সোহানের কাছে গেলে সে স্বীকার করে। এরপর পিবিআই কর্মকর্তারা তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। এই ঘটনায় স্কুল ছাত্রী মামলা দায়ের করেছে, যার নং ৭।
তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এসআই পলাশ চন্দ্র রায় এ প্রতিবেদককে জানান, আসামির মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। সে সকল ঘটনার বিবরণ দিয়েছে। তার মোবাইল ফোন পরীক্ষা করার জন্য ঢাকার ল্যাবে পাঠানো হবে।