খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ কার্তিক, ১৪৩১ | ২২ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে রাজশাহীর সারদায় পুলিশের ২৫০ এসআইকে অব্যাহতি
  নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতে আপিল পুনরুজ্জীবিত করলেন আপিল বিভাগ, এ আদেশের ফলে জামায়াতের আইন লড়াইয়ের পথ খুলে গেল

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার (৮ মার্চ) ভোররাত সাড়ে ৩ টার দিকে পাইকগাছা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাছ ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমানকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে। এর আগে, রোববার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজ শফি। বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে আসামি মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভূক্তভোগী ওই ছাত্রীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছা উত্তর সলুয়া এলাকার মৃত রহিম বক্সের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমান (৪৫) মাছ বিক্রির জন্য ভুক্তভোগির বাড়িতে প্রায়ই যাওয়া আসা করতেন। দীর্ঘদিন মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের সুবাদে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাছ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ভালো ছেলের কাছে বিয়ে দিবে এমন আশ্বাস দেয়। গত ৩ মার্চ পাত্র মিজানুরের বাসায় এসেছে এমন কথা বলে ওই ছাত্রী এবং তার মাকে তার যেতে বলেন। ওই দিন বিকাল ৩টায় বাদী তার মেয়েকে নিয়ে মিজানুর রহমানের বাড়িতে যান। কিন্তু সেখানে বিয়ের জন্য পাত্র না থাকায় ভুক্তভোগীর মা পাত্র কোথায় জানতে চাইলে মিজান বলে একটু বসো চলে আসবে। কিছুক্ষণ পর মিজানুর রহমান ভুক্তভোগী নবম শ্রেণীর ছাত্রী এবং তার মাকে শরবত খেতে দেয়। শরবত খাওয়ার পর ওই স্কুল ছাত্রীর মা অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

এক ঘন্টা পরে জ্ঞান ফিরলে দেখেন ওই বাড়িতে কেউ নেই। এমনকি তার মেয়েও নেই। মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যান মামলার বাদী। বাড়ি যেয়ে বিষয়টি তার স্বামীকে জানান। ওইদিন রাতভর খোজা-খুজি করেন তারা। পরদিন সকাল ৭টায় কপিলমনি বাজারে ধান্য মার্কেট এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে তার মেয়ে এমন সংবাদ পেয়ে তিনি ছুটে যান। সেখান থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রী তার মাকে জানান শরবত দিয়ে অজ্ঞান করার পর তাকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে কয়রা থানা এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যায় মিজানুর রহমান। সেখানে সারারাত তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করা হয়। সকাল বেলা তাকে কয়রা থেকে নিয়ে কপিলমুনি বাজার এলাকায় রেখে যায়। মেয়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে গ্রাম্য ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসার চেষ্টা করে। পরে রোববার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে পাইকগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর মা।

 

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!