আলোচিত-সমালোচিত শিল্প গোষ্টী বেক্সিমকোর ঋণের পরিমাণ ৫৩ হাজার কোটি টাকা। উল্লিখিত পরিমাণ ঋণ আদায়ে সরকারি চাপ অবাহত রয়েছে। মূলধন না থাকায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। মালিক পক্ষের সৃষ্ট অস্থিশীলতায় এ প্রতিষ্ঠানে নানা ওষুধ উৎপদন বন্ধ হয়েছে। সুযোগ বুঝে এ প্রতিষ্ঠান শীত মৌসুমের প্রয়োজনীয় ওষুধ নিপা সিরাপের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। দক্ষিণ জনপদের সবচেয়ে বড় পাইকারি ওষুধের বাজার হেরাজ মার্কেটে চাহিদার তুলনায় সর্বরাহের অর্ধেকে নেমে এসেছে। ৬০ মি:লি: এর প্রতি পিচ সিরাপ ২০ টাকার পরিবর্তে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর শিল্পগোষ্টীর কর্ণধর কারাগারে আছেন। অন্যন্য পরিচালকরা কর্মক্ষেত্রে নেই। মালিক পক্ষের প্রতিনিধিরা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এ শিল্প গোষ্টীর ফার্মাসিউটিক্যালসে উৎপাদন কমানো হয়েছে। অজুহাত দেখানো হয়েছে কাঁচামালের সংকট, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও নতুন করে চাপানো ভ্যাটের বোঝা। এনবিআর ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে। শীত মৌসুমে জ্বর, মাথা ব্যথা, দাঁতে ব্যথা ও ঠান্ডা ইনফুয়েঞ্জার জন্য এ সিরাপ অপরিহার্য। চিকিৎসকরা এটি সেবনের পরামর্শ দিচ্ছেন।
জেনারেল হাসপাতাল রোডের ওষুধ ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামান বলেন, নাপা সিরাপ ২০ টাকার পরিবর্তে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে । নাপা ওয়ান, নাপা রেপিট, নাপা এক্সটেন ও নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট প্রতিপিচ ২ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি হচ্ছে । সিরাপ বিক্রির পরিমান কমেছে। এপি ফার্মার ৫০ মি:লি: এর এলানিল ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপার ব্যবসায়ী বলেন, জেনারেল ফার্মার এক্সট্রা নীল, রিলাপিন, সেট্রা ৫০প্লাস, রেনুলা ও এ্যানডপ ৫০ প্লাস ট্যাবলেট এর সরবারহ নেই। এসিআই ফার্মার সরবারাহ আছে। ব্যথার ওষুধ এ্যানফ্লেক্স মাস্ক প্রতিপিচ ১৩ টাকার পরিবর্তে ২২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ।
হেরাজ মার্কেটের মিম মেডিসিন কর্ণারের মালিক আবদুলা আল মামুন বলেন, স্ক্যয়ারের টোরাক্স নামক ট্যাবলেট প্রতি পিচ ১২ পরিবর্তে ২০ টাকা, হার্টের ওষুধ রসুবাভাটিন ৫গ্রামের প্রতিটি ১০ টাকার পরিবর্তে ১২ টাকা, রসুবাভাটিন ১০ গ্রামের প্রতিটি ২০ টাকার পরিবর্তে ২৩ টাকা এবং রসুবাভাটিন ২০ গ্রামের প্রতিটি ২৩ টাকা পরিবর্তে ২৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
একই মার্কেটের আশা ড্রাগ হাউজের মালিক মো. আলতাফ হোসেন বলেন, প্রতিদিন নাপা সিরাপ ১০ থেকে ১৫ পিচ বিক্রি হচ্ছে। সরবারহ কম থাকায় ক্রেতার চাহিদা পুরণ করা যাচ্ছে না।
অন্যন্য ব্যবসায়ীরা বলেন, রেনেটে কোম্পানির রোলিপ নামক ট্যাবলেট প্রতি পিচ ২০ টাকার পরিবর্তে ২৪ টাকা এবং পপুলারের রসু নামক ট্যাবলেট ২০ টাকার পরিবর্তে ২৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এএজে