তেরখাদা উপজেলাতে মাঘের শুরুতে বেলা বাড়ার সঙ্গে রোদ ঝলমলে থাকলেও সকাল ও সন্ধ্যায় ঘন কুয়াশায় মোড়ানো থাকে প্রকৃতি। শীত ও ঘন কুয়াশার ফলে বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল থেকে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো থাকায় এখনো তেমন ক্ষতি হয়নি বীজতলায়। তবে বীজতলা নষ্ট হলে বোরো ধানের চারার সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন তারা। শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলার অধিকাংশ চারাই লালচে হলুদ হওয়া শুরু করেছে। আবার কোথাও কোথাও লালচে হওয়ার পর আস্তে আস্তে পাতার আগা শুকিয়ে যাচ্ছে। বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা থেকে অনেকেই কৃষি অফিসের পরামর্শে রাতে বীজতলায় পানি রাখছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, তেরখাদায় এই মৌসুমে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে। সেই লক্ষ্য পূরণে পর্যাপ্ত জমিতে বীজতলায় ধানের বীজ রোপণ করা হয়েছে। বীজতলা নষ্ট হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে শীত ও কুয়াশা। এজন্য রাতের বেলায় বীজতলায় পানি রাখতে হবে এবং দিনের বেলায় পানিটা সরিয়ে ফেলতে হবে। তাহলে এটি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এসব বোরো ধানের বীজতলা রক্ষার জন্য ইউরিয়া ও জিপসাম সার প্রয়োগের পাশাপাশি প্রতিদিন বীজতলার কুয়াশা ঝেড়ে দিতে হবে। সম্ভব হলে চারাগুলোকে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
ইখড়ি এলাকার বাসিন্দা বাদশা শেখ বলেন, এবার দিনের বেলা রোদ আর রাতে কুয়াশা। এখনো বীজতলা নষ্ট হয় নাই। কিন্তু এই অবস্থা থাকলে বীজতলা নষ্ট হবার আশঙ্কা করেছেন তিনি।
উপজেলার পানতিতা, জয়সেনা, রামমাঝি, বলর্দ্ধনাসহ বেশকিছু স্থানের কৃষকরা জানান, বর্তমান পরিস্থিতে কৃষি অফিসের পরামর্শ মত যত্ন নেয়া হচ্ছে বীজতলার। সঠিক পরিচর্যায় ব্যস্ত তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শিউলি মজুমদার বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলা নষ্ট হয়ে থাকে। কিন্তু দিনে পর্যাপ্ত রোদের কারণে এখনও বীজতলা নষ্ট হওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়নি। তবে এমন ঘন কুয়াশা বিরাজমান থাকলে বীজতলা নষ্ট হতে পারে। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। মাঠে মাঠে গিয়ে সরেজমিনে দেখছেন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ। কৃষকরাও আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করছেন। যার কারণে বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা নেই।
খুলনা গেজেট/এনএম