ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করার ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল। এদেশের মানুষ প্রতিবেশী হিসাবে যেমন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বসবাস করে, তেমনি মসজিদের পাশে গড়ে উঠা অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তারা নিজ নিজ ধর্ম পালন করে থাকে।
তথাপিও কখনো কখনো কিছু কুচক্রী মহল উস্কানি দিয়ে গুজব রটিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা চালায়। যা সমাজে ধর্ম-বর্ণ, গোত্রের মধ্যে অশান্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। দেশের সাম্প্রতিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এধরণের অপতৎপরতা রোধে খুলনা মহানগরী এলাকায় যার যার জায়গা থেকে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করার জন্য বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কেএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মান্যবর পুলিশ কমিশনার জনাব মো. জুলফিকার আলী হায়দার মহোদয়ের সভাপতিত্বে খুলনা মহানগর ইমাম পরিষদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সম্মানিত নেতৃবৃন্দের সাথে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ কমিশনার মহোদয় বলেন, এদেশে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির সাথে বসবাস করার ইতিহাস শত বছরের। কিন্তু কিছু কুচক্রী মহল বিদ্যামান এই শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বিঘ্নিত করতে চায়। আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্র হতে পারে। এজন্য সকল নাগরিকের সচেতন থাকা প্রয়োজন। মসজিদের ইমামগণ এমন মানুষ যাদের কথা ও কাজ মুসল্লীরা অনুসরণ করতে ভালোবাসে। এই প্রেক্ষাপটে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যাতে সমাজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে এব্যাপারে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য তিনি মসজিদের ইমামগণকে আহবান জানান। ইমাম পরিষদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ উন্মুক্ত আলোচনায় তাঁদের বক্তব্যে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে খুলনা মহানগরী এলাকায় সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আয়োজিত মতবিনিময় সভায় খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ এফ এম নাজমুস সউদ; ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপার ভাইজার মো. আবুল কাশেমসহ-অন্যান্য সম্মানিত নেতৃবৃন্দ এবং খুলনা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এএজে