দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা তেমন নেই। খুলনাসহ দক্ষিণের জেলাগুলোতে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। সামান্য বৃষ্টি হলেও গরম খুব বেশি একটা কমবে না।
আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
টানা প্রায় সাত দিন প্রচণ্ড গরমের পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশজুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় সাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবেই এ বৃষ্টি হয় দেশজুড়ে। তবে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়। এসব এলাকার কোথাও কোথাও বন্যাও দেখা দেয় সাময়িকভাবে। বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়। অবশ্য মঙ্গলবার এ সংকেত নামিয়ে নেওয়া হয়।
তবে গত সোমবার থেকে আবার তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। আজ টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ ও নওগাঁ জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। আগামীকালও বিভিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে বুধবারের চেয়ে বৃহস্পতিবার বৃষ্টি বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং উত্তরাঞ্চলে তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে রোববারের দিকে। তবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। এখনকার আবহাওয়ার যেমন গতিপ্রকৃতি, তাতে দ্রুতই লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। আবার শুধু লঘুচাপ হয়েই তা শেষ হয়ে যেতে পারে। লঘুচাপ সৃষ্টির বিষয়টি তাই এখনো নিশ্চিত নয়।