বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনার অন্যতম সহযোদ্ধা কদরুল হাসানকে ৬ দিন পর অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার ভোর ৪ টার দিকে লবণচরা দারোগার লেনের সুলতানিয়া আহম্মেদ জামে মসজিদের সামনে থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে খুমেক হাসপাতালের ৫-৬ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে মসজিদের মুসল্লীরা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
লবণচরা থানার ওসি পলাশ কুমার দাস জানান, আজ বুধবার ভোরে নগরীর লবণচরা থানার দারোগার লেনের সুলতানিয়া আহম্মেদ জামে মসজিদের সামনে কদরুল হাসানকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে গত ৬ দিন তিনি কোথায় কী অবস্থায় ছিলেন তা এখনও জানা যায়নি। তিনি সুস্থ্য হলে তার সঙ্গে কথা বললে এ বিষয়গুলো জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, ৫ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টার দিকে তিনি নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার সোনার বাংলা গলির বাসা থেকে বের হন। এরপর নগরীর ময়লাপোতা এলাকায় একটি মসজিদ চত্বরে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণের প্যাকেট করেন। কিন্তু রাতে বাড়ি ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ৬ সেপ্টেম্বর খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় জিডি করেছিলেন।
কদরুল নগরীর সরকারি হাজী মোহাম্মদ মুহসীন কলেজের ছাত্র। পাশাপাশি শেখপাড়া এলাকায় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পার্টটাইম চাকরি করেন।
খুলনা গেজেট/হিমালয়