খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলে বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় তিন মেয়র প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়। ভোটগ্রহণ শেষে রাত ৯টার দিকে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২ লাখ ৫৭ হাজার ৯৩৬ জন। যার মধ্যে ১ হাজার ৬৫৯ ভোট বাতিল হয়েছে। আর বৈধ ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ৫৬ হাজার ২৭৭। ৪৮ দশমিক ১৭ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট প্রদত্ত বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট প্রদত্ত বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ বা বা ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে। সেই অনুযায়ী কেসিসি নির্বাচনে ৩২ হাজার ২৪২ ভোটের কম পাওয়ায় তিন মেয়র প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন।
ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে পুনরায় নগর পিতা নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মো. আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট।
এ নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম মধু লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৮ ভোট, জাকের পার্টির এসএম সাব্বির হোসেন গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৬ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ২১৮ ভোট।
মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পাওয়ায় জামানত হারাচ্ছেন জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের মো. শফিকুল ইসলাম মধু, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকে এসএম সাব্বির হোসেন এবং স্বতন্ত্র টেবিল ঘড়ি প্রতীকে এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক।
এ নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ডে ৩১ জন কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১০ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বার বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। এ নিয়ে তিনি তৃতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হলেন।
খুলনা গেজেট/এমএম