মোংলায় বিয়ের প্রলোভনে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে সোহাগ হোসেন (২৭) নামে এক যুবককে আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ।
শনিবার (১ এপ্রিল) রাতে ভুক্তভোগীর অভিযোগের সূত্র ধরে তাকে আটক করা হয়। আটক মোঃ সোহাগ হোসেন উপজেলার শেহলাবুনিয়া এলাকার কাদের হোসেনের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬মাস আগে মোংলা উপজেলার পৌর ১নং ওয়ার্ডের মোর্শেদ সড়কের আরাজি মাকড়ঢোন এলাকার ওই কিশোরীর সাথে সোহাগ হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই সূত্র ধরে ছেলেটি মেয়েটিকে পৌর শহরের ৫নং ওয়ার্ডের শেখ আঃ হাই সড়কের সিংগাপুর হোটেলের ১০নং রুমে থাকার ব্যবস্থা করে। সেখানেই সোহাগ হোসেন মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সর্ম্পক তৈরী করে। শনিবার শারীরিক মেলামেশার পরে ওই কিশোরী সোহাগ হোসেনকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ সময় সোহাগ হোসেন তাকে (মেয়ে) বাসা থেকে আইডি কার্ড নিয়া আসার কথা বলে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ মেয়েটি রাতে থানায় হাজির হয়ে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর পুলিশ পৌর শহরের মামার ঘাট থেকে অভিযুক্ত সোহাগ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, বিয়ে করার কথা বলে শহরের একটি হোটেলে সোহাগ ওই তরুণীকে ডেকে নিয়ে আসে। দুই দিন হোটেলে অবস্থান করে। শনিবার সকালে সোহাগ বিয়ে করবে জানিয়ে ওই তরুণীকে জাতীয় পরিচয়পত্র আনার জন্য বাড়িতে পাঠায়। জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে হোটেলে গিয়ে দেখে সোহাগ নেই। মোবাইল ফোনে কল দিলে ফোনটি বন্ধ পায়। সোহাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেয়ে ওই তরুণী মোংলা থানায় গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেফতার করে তাকে আজ রবিবার (২ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি