বাগেরহাটের চিতলমারীতে কয়েকটি স্কুল ও কলেজের বিরুদ্ধে প্রাইভেট ও কোচিং বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। কতিপয় প্রভাবশালী শিক্ষক নানা ভয় দেখিয়ে শ্রেণি কক্ষেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে ও কোচিং করতে বাধ্য করছেন।
এ ধরণের নানা অভিযোগ তুলে ধরে এ গুলো বন্ধের দাবিতে বুধবার (১ মার্চ) সকালে কয়েকজন অভিভাবক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
চিতলমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ৪ টি কলেজ, ৩১ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১ টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৭ আলিয়া মাদ্রাসা রয়েছে।
অভিযোগকারী অভিভাবক সত্যেন্দ্র নাথ রায়, সমীর চক্রবর্তী ও অনুপ বাড়ৈসহ অনেকে বলেন, ‘এ উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষকরা সরকারের নীতিমালা ভঙ্গ করে রমরমা প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন। তাঁরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাক্টিক্যাল পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়া, ফরম ফিলাপে ঝামেলা ও পরীক্ষায় ফেল করার ভয় দেখিয়ে শ্রেণি কক্ষে বসেই প্রাইভেট ও কোচিং পড়তে বাধ্য করছে। প্রতিটি ব্যাচে শিক্ষার্থী যে কয়জন হোক না কেন ৫ হাজার টাকা করে নেন এবং মাত্র ১২ দিনে মাস হিসেবে পড়ান। আমরা এ গুলো বন্ধের দাবিতে ও পরিত্রাণ পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।’
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা বলেন, ‘লিখিত অভিযোগটি এখনও হাতে পাইনি। অভিযোগটি দেখে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখব।’
খুলনা গেজেট/ এসজেড