শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হয়নি বরং আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করার জন্য অস্ত্র তুলে দেয়া হয়েছে। আগামী প্রজন্মকে রক্ষার জন্য এ পাঠ্যবই বাংলাদেশে পড়তে দেয়া উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বাগেরহাট জেলা শাখার সহ সভাপতি মু. আব্দুল আজিজ নোমান।
শিক্ষাক্রম’২৩ সংস্কার, বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল ও পাঠ্যক্রম প্রণয়নে জড়িতদের তদন্তপূর্বক শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারী) মোংলা উপজেলা পরিষদের সামনে থানা সভাপতি এম নোমান হোসাইন এর সভাপতিত্বে ও সহ সভাপতি এইচ এম সায়াদ মুসাল্লীর সঞ্চালনায় মানববন্ধন করে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মোংলা থানা শাখা ।
ইসলামী আন্দোলন বাগেরহাট জেলা শাখার সহ সভাপতি মু. আব্দুল আজিজ নোমান বলেন শিক্ষকরা হচ্ছে জাতির বিবেক। কিন্তু শিক্ষাক্রম প্রণয়নে জাতির বিবেকরা যখন চৌর্যবৃত্তির আশ্রয় নেয় তখন তা জাতির জন্য লজ্জার। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বকীয়তা নষ্ট করতে এবং আগামীর প্রজন্মকে নৈতিকতা বিবর্জিত জাতিতে পরিনত করার গভীর ষড়যন্ত্র নিয়ে শিক্ষা সিলেবাসে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। দেশীয় বোধ-বিশ্বাস বিরোধী সেক্যুলার শিক্ষাক্রম দেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থী অভিভাবক বুদ্ধিজীবী সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল ও পাঠ্যক্রম প্রণয়নে জড়িতদের তদন্ত পূর্বক শাস্তি দিতে হবে অন্যথায় দেশব্যাপী সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মোংলা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইউসুফ ইকবাল বলেন, শিক্ষা সিলেবাসকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের নীলনকশা অংকন করা হচ্ছে। পাঠ্যপুস্তকে ইসলামের অন্যতম বিধান পর্দার বিরুদ্ধে নানা কাল্পনিক গল্প সাজিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ডারউইনের মতবাদের মাধ্যমে আমাদের পুর্বপুরুষদেরকে বানর হিসেবে সাব্যস্ত করার চক্রান্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, বিতর্কিত শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের চেষ্টা করলে সচেতন শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মোংলা থানা শাখার সদ্য সাবেক সভাপতি কে এম মারুফ বিল্লাহ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ মোংলা পৌর শাখার সহ সভাপতি তারেক বিন সুলতান, সাধারণ সম্পাদক মু. ওহিদুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মোংলা থানা ও পৌর শাখার নের্তৃবৃন্দ।
মানববন্ধন শেষে মোংলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের নের্তৃবৃন্দ।
খুলনা গেজেট/ বি এম এস