খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে বিমান বন্দরে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
  কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড

কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় সাফাই সাক্ষী গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার ধার্যদিনে আজ মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) আসামী পক্ষের একজনের সাফাই সাক্ষী ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। সাক্ষ্য প্রদানকারি গোলাম মোস্তফা আসামী আব্দুর রকিব এর পিতা বলে আদালত সূত্র জানিয়েছেন। মামলার পরবর্তী ধার্য দিন আগামী ১৬ জানুয়ারী ।

সাতক্ষীরা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট আব্দুল লতিফ জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুুনাল- ৩ এর বিচারক বিশ^নাথ মন্ডলের আদালতে আসামী পক্ষের সাফাই সাক্ষী শুরু হয়। আজ আসামী পক্ষের একজনের ছাফাই সাক্ষী সম্পন্ন হয়েছে। এমামলায় মোট ২৩ জন সাফাই সাক্ষী দিবেন বলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তাদেরকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জেরা করবেন পিপিসহ তার সহযোগি আইনজীবিরা।

বহুলালোচিত এই মামলার ৫০ আসামীর মধ্যে ৩৯ জন আদালতের কাঠগোড়ায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। বাকি ৯জন পলাতক রয়েছে এবং ২জন আসামীর মৃত্যু হয়েছে।

সাফাই সাক্ষী গ্রহণকালে মামলার ৩৯ জন অসামী আদালতের কাঠগোড়ায় উপস্থিত ছিলেন। বহুল আলোচিত এই মামলার ৫০ আসামীর মধ্যে ৯জন পলাতক রয়েছে এবং বিচার চলাকালিন সময়ে ২জন আাসমী মৃত্যু হয়েছে। প্রসঙ্গতঃ বিগত ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন কলারোয়ার একজন মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে। সেখান থেকে যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে পৌছালে শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গীসহ কয়েকজন দলীয় নেতাকর্মী আহত হন। এঘটনার এক যুগপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকড করা হয়। অবশেষে দুই দশক পর মামলার বিচারকার্য শেষের পথে।

এর আগে একই মামলার হামলা ও ভাংচুর অংশের বিচারে গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রায় হয়। এতে বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০জন আসামীর প্রত্যেকের সর্বনিন্ম ৩ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০বছর পর্যন্ত সাজা প্রদান করা হয়। আসামীরা বর্তমানে এই সাজায় সাতক্ষীরা কারাগারেই আছেন।

পরে একই ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে ১৩তম দিনে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয় এবং মঙ্গলবার ১৪তম দিনে ছাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। এদিন আসামী আব্দুর রকিব মোল্যার পিতা গোলাম মোস্তফা নামের একজনের সাফাই সাক্ষী গ্রহণ করা হয়। এসময় রাষ্ট্র পক্ষ থেকে তাকে জেরা করা হয়।
আগামী ১৬ জানুয়ারি ফের সাফাই সাক্ষীর দিন ধার্য করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/ বিএমএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!