সাতক্ষীরায় ভেজাল মধু বাজারজাতকরণের অভিযোগে কারিগরকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া ১০ মণ ভেজাল মধুসহ গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার পিটিআই মাঠ সংলগ্ন এলাকায় মধু তৈরির কারখানায় এই অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তবে অভিযানের খবর পেয়ে আগেই সটকে পড়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক নুর ইসলাম মুুকুল।
সাঁজাপ্রাপ্ত কারিগরের নাম মোঃ শাহাজাহান গাজী (৩৫)। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর গ্রামের বাসিন্দা। কারিগর শাহাজাহান গাজী দীর্ঘ দিন ধরে ভেজাল মধু তৈরির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
সাতক্ষীরা জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান জানান, সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার পিটিআই মাঠের পূর্বপাশে জনৈক নুর ইসলামের একটি ভেজাল মধু তৈরির কারখানা রয়েছে। মাস খানেক আগে তিনি ওই এলাকার নওশের আলীর কাছ থেকে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে এই ভেজাল মধু তৈরী শুরু করেন। প্রথমে চিনি ও পানির সাথে ফিটকারি মেশানো হয়। পরে রঙের সাথে স্বাদ বাড়ানোর রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে আধা কেজি খাটি মধুর সাথে এসব মিশ্রণ মিশিয়ে তৈরি করা হয় ২ কেজি মধু।
মোকলেছুর রহমান আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে কারখানায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের খবর পেয়ে আগেই সটকে পড়ে ভেজাল মধু তৈরি করার মুল হোতা নুর ইসলাম মুকুল। এসময় আটক করা হয় কারিগর শাহাজাহান গাজীকে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ নেওয়াজ তানভীরের আদালতে শাহাজাহানকে সোপর্দ করা হয়। আদালত শাহাজাহান গাজীকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
তিনি আরও জানান, অভিযানকালে ১০ মণ ভেজাল মধুসহ কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়া ভেজাল মধুর নমুনা ঢাকাতে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে ভেজাল মধু তৈরি করার মুল হোতা নুর ইসলাম মুকুলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/ এসজেড