খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, রাজি পাকিস্তান; ভারতের ম্যাচ দুবাইয়ে : বিসিবিআই সূত্র
  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে

চিতলমারিতে স্কুল ছাত্রের ওপর কিশোর চক্রের হামলা

চিতলমারী প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চিতলমারীতে সংঘবদ্ধ কিশোর চক্রের সদস্যরা ইন্দ্রজিৎ বিশ^াস (১৭) নামে এক মেধাবী ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। মঙ্গলবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় ওই ছাত্রকে এলাকাবাসি উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

আহত ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস উপজেলার হিজলা ইউনিয়নের চরলাটিমা গ্রামের সুজিত কুমার বিশ্বাসের ছেলে ও চলতি বছর ত্রিপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এর আগেও এই সংঘবদ্ধ কিশোর চক্রের সদস্যরা স্কুল ছাত্র সবুজ মন্ডল ও শরীফুল ইসলামকে মারপিট করেছিল। তখন কোন বিচার হয়নি। বর্তমানেও একটি প্রভাবশালী মহল মেধাবী ছাত্র ইন্দ্রজিতের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

ত্রিপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সবুজ মন্ডল, শুভজিৎ মন্ডল, জয় মন্ডল, অর্নব বালা, নয়ন মন্ডল, শুভ বৈরাগী ও শরীফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি আমাদের স্কুলে একটি সংঘবদ্ধ কিশোর চক্র গড়ে উঠেছে। এদের সকলের বাড়ি শিবপুর গ্রামে। গত ২০ থেকে ২৫ দিন আগে ওই সদস্যরা ক্ষমতা দেখাতে শরিফুল নামের এক ছাত্রকে মারপিট করে। এ সময় ইন্দ্রজিৎসহ তাঁরা কয়েকজনে মিলে হামলাকারীদের ঠেকিয়ে শরীফুলকে রক্ষা করে। এতে ওই চক্রের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে সবুজ মন্ডলকে মারপিট করে ও শুভজিৎ মন্ডলকে হুমকি দেয়। তখন তিনটি ঘটনার কোন বিচার হয়নি। এ সব ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় ওই চক্রের সদস্যরা চরলাটিমা গ্রামে গিয়ে ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাসের বাড়ি থেকে ডেকে রাস্তায় নিয়ে হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে তাঁকে এলাকাবাসি উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে ওই চক্রের এক সদস্য মুঠোফোনে জানান, ‘ইন্দ্রজিতকে মারপিটের সময় আমি ছিলাম না। তবে শুনেছি ওকে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে।’

আহত ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাসের বাবা সুজিৎ কুমার বিশ্বাস ও ত্রিপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিখিল রঞ্জন হাজরা বলেন, ‘স্থানীয় এক নেতা বলেছেন আমাদের উপযুক্ত বিচার দেবেন। বিচার না পেলে আইনের আশ্রয় নেব।’

বুধবার (১ জুন) দুপুরে চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘এ ধরণের কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!