সুন্দরবনসহ সকল বনাঞ্চলের বন্যপ্রাণী রক্ষা করে প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে এগিয়ে আসুন। বন্যপ্রাণী হত্যা অপরাধ বিষয়ে মনযোগী হওয়ার এখনই সময়। পৃথিবীর অস্তিত্বের জন্য প্রাণীকূলকে বাঁচাতে হবে। বন্যপ্রাণীর ভবিষ্যত আমাদের হাতে। সুন্দরবনের বাঘ-হরিণ-ডলফিনসহ সকল বন্যপ্রাণী হত্যা অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। ৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার, ব্রেভ ইয়ুথ গ্রুপ এবং ঢাংমারি ডলফিন সংরক্ষণ দলের আয়োজনে সুন্দরবনের ঢাংমারিতে বন্যপ্রাণী রক্ষার দাবীতে মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তারা একথা বলেন।
বৃহস্পতিবার(৩ মার্চ) সকাল ১১টায় ‘বিপন্ন বন্যপ্রাণী রক্ষা করি, প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে এগিয়ে আসি’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর বাগেরহাটে জেলার আহ্বায়ক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ।
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন বাপা নেতা পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার ইস্রাফিল বয়াতি, বাপা নেতা শেখ রাসেল, নদীকর্মী হাছিব সরদার, ডলফিন সংরক্ষণ দলের ষ্টিফেন হালদার, শেখর রায়, বাপা নেত্রী মীরা বিশ্বাস, ইয়ুথ গ্রুপের ফাতেমা জান্নাত, তরুন মন্ডল প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন বাংলাদেশের ফুসফুস সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদকূল রক্ষা করতে না পারলে উপকূলের অস্তিত্ব রক্ষায় সংকট সৃষ্টি হবে। বাঘ-হরিণসহ সকল বন্যপ্রাণী বাঁচাতে হলে তাদের আবাসস্থল বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনকেও রক্ষা করতে হবে।
বক্তারা সুন্দরবনের খালে বিষ দিয়ে মাছ নিধন বন্ধ, সুন্দরবনের প্রাণ পশুর নদীর দখল ও দূষণ রোধ, বাঘ-হরিণসহ সকল বন্যপ্রাণী হত্যা বন্ধসহ মহাপ্রাণ সুন্দরবনের পাশে সকল প্রকার বনবিনাশী প্রকল্প বাতিলের দাবী জানান। মানববন্ধনে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল শতাধিক জেলে-বাওয়ালী-মাওয়ালী ও বনজীবিরা অংশগ্রহণ করেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই