কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারবাহী একটি ট্রাক উল্টে পড়েছে। এতে মহাসড়কের কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া এলাকায় কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের মাঝে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১৭ টন লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডারবাহী একটি ট্রাক উল্টে যায়। ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও উন্নত মানের বড় ক্রেনের অভাব ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ট্রাকটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এতে যান চলাচল বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের ৩২ জেলার মানুষ।
কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া এলাকায় ভাঙাচোরা রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এলপিজি সিলিন্ডারবাহী একটি ট্রাক উল্টে যায়। ১০ চাকার ট্রাকটি বাগেরহাটের মোংলা বন্দর থেকে প্রায় ১৭ টন এলপিজি নিয়ে নাটোর যাচ্ছিল। রাস্তার ওপর আড়াআড়িভাবে পড়ে থাকায় উভয় দিকের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এই মহাসড়ক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ৩২ জেলার মানুষ যাতায়াত করে। দীর্ঘক্ষণ ধরে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় কুষ্টিয়া-ইশ্বরদী মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ট্রাকটি উদ্ধার করতে না পেরে রাতে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন ও মন্ত্রণালয়ে কথা বলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠান। রাশিয়ান ওই দল এসে গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার সরানোর বিষয়ে ঝুঁকির কথা জানিয়ে চলে যায়। সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হতে পারে, এ জন্য তারা ঝুঁকি নিতে চাননি।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে রাস্তার ওপর আড়াআড়িভাবে সিলিন্ডারবাহী ট্রাকটি পড়ে থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। মহাসড়ক বন্ধ থাকায় এলাকার বিভিন্ন বিকল্প ছোট রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করছে। এতে সরু সড়কগুলোতেও চাপ বেড়ে গেছে।
কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইদ্রিস আলী বলেন, বেক্সিমকো কোম্পানির এলপিজি সিলিন্ডারবাহী ট্রাকটি রাস্তার ওপর উল্টে আড়াআড়িভাবে পড়ে থাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মহাসড়কে প্রায় ১৩ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ অত্যাধুনিক যন্ত্রের অভাব ও বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় উদ্ধার কাজে হাত দেয়নি। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রাশিয়ান একটি টিমও উদ্ধার কাজে নামেনি। বিস্ফোরণ হলে যাতে ক্ষতি না হয়, সে জন্য উভয় পাশে বালু স্তূপ করে রাখা হয়েছে। সিলিন্ডার সরানোর জন্য বেক্সিমকো কোম্পানির একটি টিম কাজ করছে। আজ রাত ১০টা নাগাদ উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
খুলনা গেজেট/এএ