কুষ্টিয়া শহরে প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে সবুজ হাসান (১৭) নামে এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রাতে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইকোপার্কের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সবুজ হাসান কুষ্টিয়া শহরের পূর্ব মিলপাড়া এলাকার হায়দার আলীর ছেলে। সবুজ তার চাচা ফরহাদ হোসেনের তিল কারখানায় কাজ করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সবুজ হাসানের সঙ্গে ইকোপার্ক এলাকার এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ১৫ দিন আগে কুমারখালীতে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ওই তরুণীর। বিয়ের কয়েকদিন পরে তরুণী তার স্বামী বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি চলে আসে এবং স্বামীকে তালাক দেয়।
কয়েকদিন ধরে সবুজের সাথে দেখা করে এবং মোবাইলে কথে বলে ওই তরুণী। তারা কারও কথা না শুনে প্রেমের সম্পর্ক অব্যাহত রাখে। রাতে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গেলে সবুজকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সবুজের প্রেমিকার বাড়ি ইকোপার্কের পূর্ব পাশে।
সবুজকে মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সবুজের লাশ পার্কের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পরিবারকে সংবাদ দেয়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে বুধবার সকালে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের বাবা হায়দার আলী বলেন, ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ওই তরুণীর পরিবারের লোকজন ও তার সাবেক শ্বশুরবাড়ির মানুষ। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রেমিকা ওই তরুণীর বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি।
কুষ্টিয়া মডেল থানায় এসআই মো. খালিদুর আশিক বলেন, রাতে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গেলে সে হত্যার শিকার হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। প্রেমিকার পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই