Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বুধবার । ২৩শে জুলাই, ২০২৫ । ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

গল্লামারী ময়ূর নদীর উপর নির্মিত হতে যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সেতু, ব্যয় ৬৫ কোটি টাকা

একরামুল হোসেন লিপু

খুলনা নগরীর গল্লামারি ময়ূর নদীর উপর রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিলের আদলে নির্মিত হতে হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন আর্চ (বৃত্তাকার) সেতু। ইতিমধ্যে প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়। ৭৪ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি তৈরী করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্সও মিলেছে। খুব শিগগিরই সেতুটি নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহবান করা হবে বলে খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র মতে, খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে খুলনা নগরীর প্রবেশদ্বারে গল্লামারী ময়ূর নদীর উপর হাতিরঝিলের ন্যায় এই দৃষ্টিনন্দন আর্চ সেতু (বৃত্তাকার) নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। খুলনা সদর আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের আগ্রহ এবং পরামর্শ মোতাবেক প্রকল্পটির প্রস্তাবনা তৈরী করে অনুমোদনের জন্য সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। প্রকল্পটি ইতিমধ্যে উক্ত মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত হয়েছে। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (কুয়েট) থেকে বেশ কয়েকটি ডিজাইন প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা খুলনা সওজ এর দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ডিজাইন চূড়ান্ত করা হবে। আশা করা যায়, খুব দ্রুতই প্রকল্পটির দরপত্র আহবান করা হবে। চার লেন বিশিষ্ট সেতুটির দৈর্ঘ্য হবে ৭৪ মিটার। সেতুটি হবে বৃত্তাকৃতির। নগরীর সোনাডাঙ্গা দিক থেকে বটিয়াঘাটার দিকে সেতুটির ২টি ইন্টারসেকশন (লুফ) হবে। সেতুটি হবে খুবই দৃষ্টিনন্দন। নদীর মাঝখানে কোন পিলার বসবে না।

সেতুটি নির্মাণের লক্ষ্যে ষ্ট্যান্ডার্ড হাই-ওয়াটার লেভেল থেকে (SHWL) হতে ৫ মিটার ভার্টিক্যাল নেভিগেশন এবং ২০ হরাইজন্টাল ক্লিয়ালেন্স মিলেছে। বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ ব্রিজটির লেভেল নির্ধারণের সময় বিআইডব্লিউটিএ’র হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের একজন প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এবং ব্রিজটির কোন নির্দিষ্ট স্থানে সার্ভে অব বাংলাদেশ কর্তৃক স্থাপিত BM হতে লেভেলিং এর মাধ্যমে প্রাপ্ত মান সহ একটি বেঞ্চমার্ক স্থাপন এবং নৌ-যান চালকদের যাতে সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স লিখে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

চার লেন বিশিষ্ট সেতুটির একপাশ দিয়ে জনসাধারণের যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকবে। রাতে হাতিরঝিলের ন্যায় দৃষ্টিনন্দন এবং আকর্ষনীয় রং বেরং এর আলোর ঝলকানির ব্যবস্থা করা হবে। সেতুটি তৈরী হলে খুলনাবাসীর জন্য বিনোদনের সেরা স্থানে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন